Cricket Ball Price: বিশ্বকাপে ব্যবহৃত বলের দাম কত জানেন? কোথায়, কিভাবে তৈরি হয় এই বল?
২০১১ সালের পর দুটি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে গন্ডি টপকাতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ফেস বিশ্বজয় করতে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ভারতকে। তবে চলতি বছর বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত। সেই কারণে ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ের প্রবল আশা তৈরি হয়েছিল ভারতের জন্য। সেই সঙ্গে ২০ বছর আগের বদলা নেওয়ার সুযোগ ছিল টিম ইন্ডিয়ার কাছে। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় শেষমেষ। ফাইনালে গিয়ে হারতে হল রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের।রবিবার রাতে যেন ভারতবাসীর স্বপ্ন ভেঙে যায় এক লহমায়।
তবে এইবার বিশ্বকাপ জয় না হলেও বিশ্বকাপে ভারতীয় দর্শকদের জন্য দারুন সব খেলা উপহার দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার প্লেয়াররা। একদিকে যেমন ব্যাট হাতে বাইশ গজে আগুন ধরিয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মারা, অন্যদিকে বল হাতে মহম্মদ শামি, জশপ্রীত বুমরাহরা বিপক্ষ দলকে রীতিমতো দাঁড়াতেই দেননি ঠিকভাবে। তাই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়ে থেকে গেছেন ভারতীয় খেলোয়াড়রাই।
এছাড়াও ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে এই ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ। জানা গেছে, ৩০ কোটি ভারতীয় টিভিতে এই বিশ্বকাপ ম্যাচ দেখেছেন। যা টিভিতে সম্প্রচারিত হওয়া কোনও অনুষ্ঠানে সর্বাধিক দর্শক। টুইট করে এই বিষয়ে জয় শাহ লেখেন, ‘৩০ কোটি ভক্তরা টিভিতে দেখেছেন ২০২৩ ফাইনাল। এটিকে ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে যেকোনও ধরনের সবচেয়ে বেশি দেখা ইভেন্ট করে তুলেছে। পিক টিভি কনকারেন্সিও ১৩ কোটির ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে আমাদের খেলার প্রতি ভারতীয় ভক্তদের ভালবাসা এবং আবেগ দেখে আমরা আবারও গর্বিত। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
তবে যে বিশ্বকাপ নিয়ে এত উন্মাদনা, সেই বিশ্বকাপ আদতে কোন বলে খেলা হয়? সেই বলের দামই বা কত? সালে অবাক হবেন যে যে বিশেষ বলে খেলা হয় বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ, তার প্রত্যেকটির দাম ১৫ হাজার টাকা। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বিশেষ উপায়ে তৈরি হয় এই কোকাবুরা কোম্পানির টার্ফ মডেলের সাদা বল। এই বলের গুণমান বোঝা যায় তার নির্মাতা সংস্থার জনপ্রিয়তা দেখেই।