ভরা মঞ্চে শরীর বেঁকিয়ে পায়েলের উদ্দাম নাচ, পরিস্থিতি সামাল দিতে মঞ্চে পুলিশ
হরিয়ানভি নৃত্য ও রাগনী পেশায় আসছেন একের পর এক এক নৃত্যশিল্পী। সকলেই মহিলা এবং তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই আঞ্চলিক। গ্রামীণ সমাজ থেকে উঠে আসা এই মহিলাদের অধিকাংশ আর্থিক সমস্যার কারণে এই পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছেন। খোলা মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করেন রাগনী শিল্পীরা। ইদানিং এই পেশায় যথেষ্ট বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন পায়েল চৌধুরী (Payal Choudhary)। গত 28 শে অক্টোবর ‘রিওয়াসা প্রতিযোগিতা’-র একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে ‘হরিয়ানভি উড আপডেটার’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন পায়েল।
লোকসঙ্গীত শিল্পী প্রীতি চৌধুরী ঝুনঝুনু (Prity Choudhary Jhunjhunu)-র গান ‘সাসরে না যায়ুঙ্গি’-র সাথে ডান্স পারফরম্যান্স করেছেন পায়েল। তাঁর পরনে রয়েছে লাল রঙের টাইট পাতিয়ালা সালোয়ার-কামিজ। কামিজের নেকলাইন সামান্য ডিপ। নাচের শুরুতে মাথায় ঘোমটা দিয়েছিলেন পায়েল। মঞ্চের সামনে ভিড়ের দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারা করে নাচ শুরু করেন প্রীতি। নিখুঁত রাগনী নৃত্যশৈলীতে তিনি সকলকে তাক লাগিয়ে দেন। তবে পায়েলের এই ভিডিওটি যথেষ্ট দূর থেকে তোলা হয়েছে। ফলে নাচের বিভিন্ন স্টেপ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। পায়েলের ঠুমকায় উত্তেজিত হয়ে দর্শকদের একাংশ উঠে পড়েন মঞ্চের উপর। অবশ্যই তাঁরা পুরুষ। পায়েলকে টাকা দিতে থাকেন তাঁরা। পায়েলও সেই টাকা নেন।
তবে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় যখন পায়েলকে ওই পুরুষরা স্পর্শ করতে চান। কিন্তু অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা ওই পুরুষদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। তবে এরপরেও ক্রমশ অশান্ত হয়ে উঠেছিল মঞ্চ। পায়েল অবশ্য নাচ থামাননি। তিনি একনাগাড়ে নেচে গিয়েছেন। অবশেষে সামলে গিয়েছে পরিস্থিতি। পায়েল অবশ্য বাদ দেননি বুটি ডান্সও। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আবারও একজন পুরুষ মঞ্চে উঠলে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
বেগতিক দেখে পায়েল নিজের নাচকে যৌনত্তেজক পর্যায় নিয়ে যাননি। কোনোমতে নাচ শেষ করেছেন পায়েল। ভিডিওটি এখনও অবধি সাড়ে এগারো হাজার ভিউ অতিক্রম করেছে।