Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

৯টা থেকে ৫টা নয়! সরকারি দফতরে কাজের নতুন রুটিন, রেলযাত্রায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে বড় সিদ্ধান্ত

মুম্বইয়ের ভিড়, বিশেষ করে লোকাল ট্রেনের গাদাগাদি দৃশ্য এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে শহরবাসীর স্বস্তি ফেরাতে প্রশাসনের তরফে নেওয়া হচ্ছে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত—সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলির সময়সূচিতে আসছে বড় বদল। এর ফলে বদলাতে চলেছে লক্ষ লক্ষ কর্মজীবীর দৈনন্দিন যাত্রাপথও। প্রতিদিন মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ। অফিস টাইম মূলত সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা হওয়ায়, একই সময়ে লাখো মানুষ ট্রেনে ওঠেন ও নামেন। এই ‘পিক আওয়ার’ চাপের ফলে রোজকার যাতায়াতে বেড়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও। গত এক মাসেই চারজন যাত্রী ট্রেন থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তিন বছরে এমন দুঃখজনক মৃত্যুর সংখ্যা ৭,৫০০-রও বেশি!

এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এক উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। এতে পরিবহন দফতর, রেল কর্তৃপক্ষ এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তাঁদের প্রস্তাব অনুযায়ী, অফিস টাইম দুই ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা হয়েছে—একটি শিফ্ট সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা, অন্যটি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এমন সময়সূচির ভিন্নতা এনে মূলত ‘পিক আওয়ার’-এ চাপ কমানোই লক্ষ্য। এই ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে ট্রেনে উঠবেন, ফলে একসঙ্গে ভিড় নামবে না প্ল্যাটফর্মে বা কোচে। এতে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, তেমনি যাত্রাও হবে আরামদায়ক ও নিরাপদ। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে শুধু কর্মীদের সুবিধাই নয়, শহরের সামগ্রিক পরিবহণ ব্যবস্থায়ও আসবে ভারসাম্য। ভবিষ্যতে এই পরিকল্পনা অন্য মেট্রো শহরেও মডেল হিসেবে গৃহীত হতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

 প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন (FAQ)

১. মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে প্রতিদিন কতজন যাতায়াত করেন?
প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন।

২. কেন এই নতুন অফিস টাইম চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে?
লোকাল ট্রেনের চাপ ও দুর্ঘটনা কমাতে অফিস টাইম ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

৩. প্রস্তাবিত নতুন সময়সূচি কী রকম হবে?
দুটি সময় প্রস্তাবিত—সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা এবং সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা।

৪. সম্প্রতি কী ঘটনার কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে?
গত মাসে চারজন যাত্রী ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন।

৫. প্রশাসনের মতে এই পরিকল্পনার মূল উপকারিতা কী হবে?
ট্রেনের ভিড় কমবে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে ও যাত্রীদের যাত্রা আরও সুরক্ষিত হবে।