Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

২১ জুলাই: সরকারি ছুটির দিন নাকি দফতর খোলা থাকবে? জানুন কী বলছে নবান্ন

২১ জুলাই—এই তারিখটি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিবছর এই দিনটি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এই বিশেষ দিনটিকে ঘিরে রাজ্যবাসীর মনে বারবার উঠে আসে একটি প্রশ্ন—২১ জুলাই কি সরকারি ছুটি? ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, যুব কংগ্রেসের এক শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালীন রাজভবনের দিকে এগোতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ১৩ জন কংগ্রেস কর্মী। সেই ঘটনার স্মরণেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবছর শহরের বুকে ব্যাপক জমায়েতের মাধ্যমে পালন করে ‘শহীদ দিবস’। মূল কর্মসূচি কেন্দ্রীভূত থাকে ধর্মতলা, এসপ্লানেড, ভিক্টোরিয়া হাউজের মতো কেন্দ্রীয় অঞ্চলে। তবে এই বিশেষ দিনটি সরকারি ছুটির তালিকায় নেই। এটি সামাজিক বা ঘোষিত ছুটির অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ, এই দিনে স্বাভাবিকভাবেই সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে। তবে কর্মসূচিকে ঘিরে কলকাতায় বিপুল ভিড়, যানজট, ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত চাপ পড়ে—ফলে বাস্তব পরিস্থিতি বদলে যায়।

এই কারণে অনেক সময় দুপুর ২টার পর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বেশ কিছু সরকারি দফতর আংশিকভাবে বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি দেয়। একই সঙ্গে কিছু অফিস বা দফতর নিজেদের মতো করে কর্মীদের জন্য অর্ধ-দিবস ছুটির ব্যবস্থা করে। সেইসঙ্গে কলকাতা পুলিশ পক্ষ থেকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক প্ল্যান তৈরি করা হয়। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও বাড়তি যাত্রী সামলাতে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই দিন সাধারণ নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, যাতে চিকিৎসা, জরুরি পরিষেবা, বা স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী মানুষজন যেন বেশি অসুবিধার মুখোমুখি না হন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর (FAQ):

১. ২১ জুলাই কি পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ছুটি হিসেবে গণ্য হয়?
না, এটি কোনও সরকারি ছুটি নয়। অফিস-কাছারি স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকে।

২. কেন ২১ জুলাই শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়?
১৯৯৩ সালের এই দিনে ১৩ জন রাজনৈতিক কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হন, সেই ঘটনার স্মরণে এই দিবস পালন করা হয়।

৩. সরকারি অফিসে কি অর্ধ-ছুটি দেওয়া হয় এই দিন?
সরকারিভাবে না হলেও, কিছু দফতর নিজেদের সিদ্ধান্তে দুপুরের পর অফিস বন্ধ রাখে।

৪. জনসাধারণের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত মেট্রো পরিষেবা এবং জনবহুল এলাকায় নজরদারির ব্যবস্থা থাকে।

৫. এই দিনে কোথায় জনসমাগম বেশি হয়?
ধর্মতলা, এসপ্লানেড ও রাজভবন সংলগ্ন এলাকায় প্রধানত জনসমাগম হয়।