টাকা দরকার? ব্যাঙ্কে লাইনে দাঁড়াতে হবে না, গ্যারান্টার লাগবে না—শুধু আধার আর প্যান নম্বর থাকলেই মিলতে পারে ৫,০০০ পর্যন্ত ঋণ। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে এই ধরনের তাৎক্ষণিক ঋণ হয়ে উঠছে বহু মানুষের ভরসা। বর্তমানে বেশ কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনেই স্বল্প অঙ্কের ব্যক্তিগত ঋণ মিলছে আধার কার্ড ব্যবহার করে। অর্থাৎ, কেবলমাত্র আধার নম্বর, প্যান এবং মোবাইল নম্বর দিয়েই এই পরিষেবার জন্য আবেদন করা যায়। সারা প্রক্রিয়াটি ই-কেওয়াইসি ও ওটিপি (OTP) ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়, যা সময় বাঁচায় এবং সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য।
এই ধরনের ঋণের জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ২১ বছর হতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঋণের মেয়াদ থাকে ৩ থেকে ৬ মাস, এবং সুদের হার হয় বার্ষিক ১৫ থেকে ৩৬ শতাংশ। যদিও এটা নির্ভর করে প্রার্থীর আয় ও ক্রেডিট স্কোরের উপর। এমত ঋণের পরিষেবা সরবরাহ করছে কিছু জনপ্রিয় ফিনটেক সংস্থা যেমন KreditBee, MoneyView, mPokket, Pocketly প্রভৃতি। যেহেতু এরা সকলেই NBFC বা RBI অনুমোদিত সংস্থার অংশীদার, তাই নির্ভরযোগ্যতা কিছুটা বেশি।
তবে, আবেদন করার আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে—প্রতিষ্ঠানটি রেজিস্টার্ড কি না এবং তাদের শর্তাবলী স্বচ্ছ কিনা, তা যাচাই করে নেওয়া। কারণ EMI পরিশোধে দেরি হলে তা ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব ফেলতে পারে, ভবিষ্যতে বড় অঙ্কের ঋণ নিতে সমস্যা হতে পারে। এই পরিষেবা মূলত তাদের জন্য উপকারী, যাঁরা দ্রুত ছোট অঙ্কের অর্থনৈতিক সহায়তা চান কিন্তু ব্যাঙ্কিং প্রক্রিয়ার জটিলতায় যেতে চান না।
পাঠকদের জিজ্ঞাসা
১. আধার কার্ড দিয়ে কত টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়?
এই পরিষেবার মাধ্যমে ৫,০০০ পর্যন্ত তাৎক্ষণিক ঋণ মিলতে পারে।
২. এই ঋণের জন্য কী কী নথি দরকার?
প্রয়োজন হবে আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও মোবাইল নম্বর।
৩. ঋণের আবেদন করার প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়?
অনলাইনে ই-কেওয়াইসি এবং OTP ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হয়।
৪. EMI মিস করলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
সময়মতো EMI না দিলে ক্রেডিট স্কোরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
৫. কী দেখে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়া উচিত?
প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রেশন, শর্তাবলী এবং গ্রাহক রিভিউ যাচাই করা বাঞ্ছনীয়।