বিধাননগর বা দমদম স্টেশনে ট্রেন ধরার আগে ছোটখাটো কিছু কেনাকাটা করতে যেতেন? কয়েক মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে চা, জল বা স্ন্যাক্স খেতে অভ্যস্ত ছিলেন? সেই সুযোগ আর থাকছে না! যাত্রী ভিড় নিয়ন্ত্রণে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল দফতর। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই দুই গুরুত্বপূর্ণ শহরতলির স্টেশন থেকে তুলে ফেলা হবে সমস্ত দোকান ও ভেন্ডার স্টল।রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন গড়ে ২২২ জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করে দমদম স্টেশন দিয়ে। অন্যদিকে, বিধাননগর স্টেশন দিয়ে চলে ২১৬ জোড়া ট্রেন। ফলে দিনে দিনে যাত্রী চাপ বেড়েই চলেছে এই দুই স্টেশনে। শুধু বিধাননগরেই প্রতিদিন গড়ে ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন, যার মধ্যে এক লক্ষের বেশি যাত্রী থাকেন অফিস টাইমে। দমদমেও প্রতিদিন প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রী ওঠানামা করেন।
এই বিপুল ভিড় সামলাতে স্টেশনে স্টলগুলোর কারণে চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল—এমনটাই মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাই প্ল্যাটফর্ম এবং প্রবেশপথে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রথম ধাপে সব দোকান সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই পদক্ষেপ সাময়িকভাবে কিছু অসুবিধা সৃষ্টি করলেও, দীর্ঘমেয়াদে যাত্রীদের সুবিধাই বাড়বে।”তবে শুধু দোকান সরানোতেই থেমে থাকছে না রেলের পরিকল্পনা। স্টেশন পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আধুনিক ট্রেন ইনফরমেশন বোর্ড, আপডেটেড পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম এবং টিকিট কাউন্টারগুলির উন্নয়ন করা হবে। বিশেষ করে দমদম স্টেশনের আরপিএফ ব্যারাকের পাশে নতুন একটি বুকিং অফিস তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।এই উদ্যোগগুলি বাস্তবায়িত হলে যাত্রীদের যাতায়াত আরও সহজ, দ্রুত ও সুরক্ষিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত পিক আওয়ারে ভিড় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনগুলো বড়সড় ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQs):
১. কেন সরানো হচ্ছে দোকান ও ভেন্ডার স্টলগুলো?
→ যাত্রী চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিল বলে স্টেশন চত্বরে অবস্থিত দোকানগুলো সরানো হচ্ছে।
২. কবে থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে?
→ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দোকান সরানোর কাজ সম্পূর্ণ হবে।
৩. দিনে কতজন যাত্রী যাতায়াত করেন এই স্টেশনগুলো দিয়ে?
→ বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ ও দমদমে ১.৫ লক্ষ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করেন।
৪. ভবিষ্যতে কী কী পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে?
→ নতুন ইনফরমেশন ডিসপ্লে বোর্ড, উন্নত পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, এবং দমদমে নতুন বুকিং অফিস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
৫. এই পরিবর্তন যাত্রীদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে?
→ ভিড় কমবে, যাত্রী চলাচল আরও নির্বিঘ্ন হবে এবং নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে।