নতুন করে রূপচর্চায় ফিরছে এক পুরনো উপাদান—কাজুবাদাম। শুধুমাত্র খাবার হিসেবেই নয়, এবার এই বাদামের পেস্ট ব্যবহার করা হচ্ছে সরাসরি ত্বকে। স্কিন ব্রাইটনিং ও অ্যান্টি-এজিংয়ের ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া উপকরণের উপকারিতা ঘিরে বাড়ছে আগ্রহ।ত্বকের জন্য উপকারী বলে পরিচিত কাজুবাদামে রয়েছে ভিটামিন E, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, কপার ও নিয়াসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও খনিজ। এগুলি একদিকে যেমন ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, তেমনই দূর করে কালচে দাগ ও ব্রণের সমস্যা।বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজুবাদামের মধ্যে থাকা essential fatty acids ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবে ময়শ্চার ধরে রাখে। এতে ত্বক হয় আরও নমনীয় ও উজ্জ্বল। পাশাপাশি, কপার ত্বকে collagen ও elastin উৎপাদনে সাহায্য করে, যা বয়সের ছাপ ধীরে আনে।
কেমনভাবে ব্যবহার করবেন?
কাজুবাদাম পেস্ট তৈরি করতে প্রথমে কয়েক ঘণ্টা বাদাম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সেগুলি পিষে তার সঙ্গে যোগ করা যেতে পারে দুধ, মধু, দই, হলুদ কিংবা বেসনের মতো প্রাকৃতিক উপাদান। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার মুখে লাগালে ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ও কোমলতা ফিরে আসবে বলে মত সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞদের।
নিয়মিত ব্যবহারে কী কী উপকার?
-
পিগমেন্টেশন কমায়: সেলেনিয়াম ও নিয়াসিন ত্বকের কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।
-
ব্রণের সমস্যা হ্রাস: জিঙ্কের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্রণ ও লালচে ভাব কমাতে পারে।
-
ত্বক থাকে হাইড্রেটেড: ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে।
-
বয়সের ছাপ হ্রাস: কপার ত্বকের ফার্মনেস বজায় রাখতে সাহায্য করে।
-
ঘরোয়া ও সস্তা সমাধান: বাজারের দামী কেমিক্যাল প্রোডাক্টের তুলনায় এটি স্বস্তির বিকল্প।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
১. কাজুবাদাম পেস্ট সত্যিই ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে?
হ্যাঁ, এতে থাকা নিয়াসিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে।
২. সপ্তাহে কতবার ব্যবহার করা নিরাপদ?
সাধারণভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৩. কারা এটি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলবেন?
যাদের বাদামে অ্যালার্জি রয়েছে বা সংবেদনশীল ত্বক, তাঁদের আগে patch test করা উচিত।
৪. ত্বকের কোন কোন সমস্যায় এটি কাজ করে?
ব্রণ, দাগছোপ, শুষ্কতা ও হালকা বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৫. অন্য কোন প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে মেশালে ভালো কাজ করে?
দুধ, মধু, দই, হলুদ ও বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে কার্যকারিতা আরও বাড়ে।