whatsapp channel

Chitrangada Satarupa: ‘ভাইফোঁটা’ নয় ‘বোনফোঁটা’ উৎসবে মাতলেন ঋতাভরী-চিত্রাঙ্গদা

"আজ আমাদের বোন ফোঁটা দেখবে এসো কান্ডটা। থালায় রেখে গঙ্গা জল, অন্য থালায় মিষ্টি, ফল। বরণ ডালায় জ্বলছে দীপ, পরাচ্ছি চন্দনের টিপ। সামনে বসে ছোট্ট বোন, ধৈর্য্য ধরে অনেকক্ষণ, আর…

Avatar

HoopHaap Digital Media

“আজ আমাদের বোন ফোঁটা
দেখবে এসো কান্ডটা।
থালায় রেখে গঙ্গা জল,
অন্য থালায় মিষ্টি, ফল।
বরণ ডালায় জ্বলছে দীপ,
পরাচ্ছি চন্দনের টিপ।
সামনে বসে ছোট্ট বোন,
ধৈর্য্য ধরে অনেকক্ষণ,
আর পারেনা সামলাতে,
মিষ্টি তুলে নেয়ে হাতে।
নিচ্ছে ফোঁটা, চলছে মুখ।
প্রাণের মধ্যে কতই সুখ।।”
২০০১ এ শতরূপা সান্যাল লেখেন এমন মিষ্টি একটা ছড়া। মায়ের কলমে বোনফোঁটা দেওয়ার মিষ্টি চল শুরু হয় চক্রবর্তী পরিবারে। বুঝতেই পারছেন এটি ভাইফোঁটা সংক্রান্ত ছড়া নয়, ব্যাপারটা হল দুই বোনের বোনফোঁটা দেওয়ার কাহিনী। ভাই না থাকলে ভাইফোঁটা দেবে কাকে? এর থেকে বরং দুই বোন থাকলে একে অপরকে ফোঁটা দিয়ে বোনের মঙ্গল কামনা করাই যায়।

মা, দিদা শিখিয়েছিলেন দুই বোন দুই বোনের জন্য। একে অপরের মঙ্গল দুজনকে চাইতে হবে এবং করতে হবে। তাই ছোট্ট থেকে বোনফোঁটা দেওয়ার নিয়ম পালন করে আসছেন চিত্রাঙ্গদা ও ঋতাভরী চক্রবর্তী।

সিনেমা হোক বা ব্যাক্তিগত জীবন সবেতেই নতুনত্বের ছোঁয়া রাখতে চান অভিনেত্রী ঋতাভরী। ফোঁটা উৎসব যেমন বোনফোঁটা উৎসবের মধ্যে দিয়ে সেলিব্রেট করেন তেমনই দীপাবলি উৎসব তাকে পাওয়া যায় অন্য মেজাজে। ‘দ্য আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডেফ’ নামে সল্টলেকের একটি স্কুল চালান অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এখানে এসেও তিনি বাচ্চাদের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটান।

অভিনেত্রী ঋতাভরী বরাবরই সাহসী মেয়ে। নিজের কেরিয়ার থেকে ব্যাক্তিগত জীবন সবটাই স্বমহিমায় গুছিয়ে নিতে পেরেছেন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে তার অনুরাগীদের সংখ্যাও প্রচুর। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ করার পর থেকে ঋতাভরীর জনপ্রিয়তা যেন আরো বাড়তে থাকে। তবে এই মেয়েও গত এক বছরে দুটি বড় অস্ত্রোপচারের ঝক্কি সামলেছেন। আটমাসের বেশি সময় শয্যাশায়ী থাককে হয় তাঁকে। এরপরেও ফিরেছেন কাজে। কেউ কেউ বডি শেমিং করলেও, কোনো কিছুকে পাত্তা না দিয়ে নিজ ছন্দে ফেরেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। পুজোর মুখে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে তাকে দেখা গিয়েছে। এখনও বিজ্ঞাপনের চেনা মুখ তিনি।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media