নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে ঘিরে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ২০২৫ সালের ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) ওই এলাকায় সরকারি কর্মীদের জন্য ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভোটারদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগে কোনও বাধা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ছুটির এই ঘোষণা করা হয়েছে আইনত ভিত্তিতে— ১৮৮১ সালের ‘নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট’-এর ২৫ নম্বর ধারা এবং ১৯৫১ সালের ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অ্যাক্ট’-এর ১৩৫বি(১) ধারা অনুযায়ী। আইন মোতাবেক ভোটগ্রহণের দিন ভোটারদের নিরবিচারে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক।এছাড়াও ছুটি প্রযোজ্য হবে কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকার সমস্ত সরকারি দফতর, সরকারি উপকরণ সংস্থা, কর্পোরেশন, বোর্ড, স্থানীয় সংস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অর্থাৎ ভোটের দিনে এইসব অফিস ও সংস্থা বন্ধ থাকবে।
শুধু স্থানীয় কর্মীরাই নন, কালীগঞ্জ কেন্দ্রে নথিভুক্ত ভোটার যাঁরা অন্যত্র চাকরি করেন, তাঁদের জন্যও ১৯ জুন একটি বেতনসহ ছুটির বিধান করা হয়েছে। এমনকী চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও সেই দিন ছুটি পাবেন ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বার্থে।রাজ্য সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যদি ১৯ জুন রাতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া দেরি করে শেষ হয়, তাহলে প্রয়োজনে ২০ জুন (শুক্রবার) ভোটকর্মীদের জন্য ‘স্পেশাল লিভ’-এর ব্যবস্থা করা হতে পারে।এই সিদ্ধান্তগুলি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে মসৃণ ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলবে বলেই প্রশাসনিক মহলের মত। একইসঙ্গে কর্মীদের স্বার্থ এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে।
গুরুত্বপূর্ণ ৫টি প্রশ্নোত্তর:
১. ১৯ জুন কেন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে?
১৯ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, সেই উপলক্ষে এই ছুটি ঘোষণা।
২. কারা এই ছুটির সুবিধা পাবেন?
কালীগঞ্জ এলাকার সরকারি অফিস, বোর্ড, কর্পোরেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এবং ভোটাররাও এই ছুটির আওতাভুক্ত।
৩. বাইরের অফিসে কর্মরত ভোটাররা কী ছুটি পাবেন?
হ্যাঁ, কালীগঞ্জের ভোটার হলে যেখানেই চাকরি করুন না কেন, সেই দিন বেতনসহ ছুটি পাওয়ার অধিকার থাকবে।
৪. ছুটির জন্য কী আইন প্রযোজ্য হয়েছে?
নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১ এবং রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অ্যাক্ট, ১৯৫১-এর নির্দিষ্ট ধারাগুলি অনুসরণ করে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
৫. ২০ জুনও কি ছুটি হতে পারে?
হ্যাঁ, যদি ভোটগ্রহণ অনেক রাত অবধি চলে, তবে ভোটকর্মীদের জন্য ২০ জুন অতিরিক্ত ছুটির ব্যবস্থা করা হতে পারে।