ভারতের রাস্তায় আবার দেখা যেতে চলেছে ৮০’র দশকের চেনা ছবি— কিনেটিক হোন্ডার সেই পুরনো স্টাইল। তবে এবার সেটি আসছে আধুনিক রূপে, বৈদ্যুতিক শক্তিতে। ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই, বাজারে আসছে কিনেটিক গ্রিন-এর নতুন রেট্রো-স্টাইল ইলেকট্রিক স্কুটার। এই নতুন স্কুটারের ডিজাইনটি তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় ‘কিনেটিক হোন্ডা ডিএক্স’-এর আদলে। কাস্টমারদের কাছে ফিরে আসছে সেই চওড়া হ্যান্ডেলবার, আয়তকার এলইডি হেডলাইট, এবং সিম্পল সাইড প্যানেল। তবে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যুক্ত হয়েছে আধুনিক ইভি (EV) ফিচার— যার মধ্যে আছে হাব-মাউন্টেড ইলেকট্রিক মোটর, টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাসপেনশন, এবং রিয়ার শক অ্যাবজর্বার।
নতুন এই স্কুটারে থাকছে সামনের ডিস্ক ব্রেক, ৩-স্পোক অ্যালয় হুইল, প্রশস্ত ফুটবোর্ড, ও ব্যাটারি ধারণক্ষম সম্পূর্ণ বডি কাঠামো। এর ফলে রাইডারদের জন্য আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংস্থা। স্কুটারটির উৎপাদন হবে মহারাষ্ট্রের আহিল্যা নগরে, যেখানে “Watts & Volts Ltd.”-এর অধীনে তৈরি হয়েছে একটি নতুন ইভি উৎপাদন কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে কর্মসংস্থানও বাড়বে স্থানীয় স্তরে।
এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে ইতিমধ্যেই বাজারে থাকা Hero Vida, TVS iQube, Bajaj Chetak, ও Ola S1-এর নাম উঠে আসছে। অর্থাৎ ইলেকট্রিক স্কুটারের প্রতিযোগিতার ময়দানে এবার শক্তি বাড়াতে চলেছে কিনেটিক। এর আগে কিনেটিক ইভি বাজারে ‘e-Luna’ মডেলটি নিয়ে এসেছিল, যা সংস্থার ইলেকট্রিক ভেহিকল সেগমেন্টে প্রথম পদক্ষেপ ছিল। এবার সেই পথেই আরও বড় পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে এই রেট্রো-ইভি লঞ্চ।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. কিনেটিক গ্রিন-এর নতুন স্কুটার কবে লঞ্চ হতে চলেছে?
এই স্কুটারটি ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই বাজারে আসবে।
২. এই স্কুটারের মূল ডিজাইন কিসের অনুপ্রেরণায় তৈরি?
এই ডিজাইনটি ১৯৮০’র দশকের কিনেটিক হোন্ডা ডিএক্স-এর আদলে নির্মিত।
৩. এই মডেলে কী কী আধুনিক বৈশিষ্ট্য থাকছে?
এতে থাকছে হাব-মাউন্টেড ইলেকট্রিক মোটর, এলইডি হেডলাইট, টেলিস্কোপিক সাসপেনশন, ডিস্ক ব্রেক, ও ব্যাটারি ধারণক্ষম বডি কাঠামো।
৪. কোথায় এই স্কুটার তৈরি হবে?
এই স্কুটারের উৎপাদন হবে মহারাষ্ট্রের আহিল্যা নগরের একটি নতুন ইভি প্ল্যান্টে।
৫. বাজারে এটি কোন কোন ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে?
এই মডেলটি Hero Vida, TVS iQube, Bajaj Chetak, ও Ola S1-এর মতো স্কুটারের সঙ্গে টক্কর দেবে।