Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

LPG সস্তা হলো, জানুন এখন কত টাকায় মিলছে ১৪.২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার

দেশের শহর থেকে গ্রাম—প্রায় ২ কোটিরও বেশি পরিবারে স্বস্তির হাওয়া বয়ে আনল কেন্দ্রীয় সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ১৪.২ কেজি ওজনের ঘরোয়া এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় ₹১০০ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এই ঘোষণার ফলে প্রতিটি রাজ্যের প্রধান শহরগুলিতে দেখা যাচ্ছে মূল্য হ্রাসের চিত্র।

মূল পরিবর্তন কোথায় কী?

নতুন দাম অনুযায়ী দিল্লিতে এখন একটি সিলিন্ডারের জন্য গুনতে হবে ৮০০, যেখানে আগে ছিল ₹৯০০। মুম্বইতে ₹৯২০ থেকে নেমে এসেছে ₹৮২০, কলকাতায় ₹৯৪০ থেকে ৮৪০ এবং চেন্নাইয়ে ৯৫০ থেকে হয়েছে ৮৫০। ব্যাঙ্গালোর, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ ও পুনেতেও দেখা গিয়েছে ₹১০০ পর্যন্ত ছাড়।এই ছাড় অন্তত ছ’মাস চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে সরকারিভাবে। তফসিলি রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে, কারণ সেখানে স্থানীয় কর এবং পরিবহণ খরচ অনুযায়ী পরিবর্তন হয়।

সরকারের এই পদক্ষেপের পিছনে একাধিক উদ্দেশ্য রয়েছে। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের বাড়তি খরচে রাশ টানা, অন্যদিকে তেমনই এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া। এখনও দেশের বহু গ্রামীণ এলাকায় কাঠ বা অন্যান্য জৈব জ্বালানি ব্যবহৃত হয়, যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ—উভয়ের জন্য ক্ষতিকারক। তাই পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে এ ধরনের ছাড়কে ভবিষ্যতমুখী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দাম কমার ফলে খরচের দিক দিয়ে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। একই সঙ্গে সরাসরি প্রভাব পড়বে রান্নার জ্বালানির ব্যবহারে, যা অর্থনীতির উপরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

FAQ (প্রশ্নোত্তর)

১. সিলিন্ডারের এই ছাড় কতদিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে?
এই দাম অন্তত ছ’মাস পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

২. এই সুবিধা কি শুধুমাত্র শহরবাসীদের জন্য?
না, এই সুবিধা গ্রামীণ ও শহর—উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

৩. প্রত্যেক রাজ্যে কি একই হারে দাম কমেছে?
সব রাজ্যে একই হারে কমেনি, স্থানীয় কর ও পরিবহণ খরচ অনুযায়ী কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

৪. দাম কমার ফলে এলপিজি ব্যবহার বাড়বে কি?
সরকারের আশা, কম দাম সাধারণ মানুষকে পরিষ্কার জ্বালানির দিকে আকৃষ্ট করবে।

৫. আগামিদিনে আবার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে কি?
বর্তমানে ছ’মাসের জন্য দাম স্থির রাখা হয়েছে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।