১ জুন, ২০২৫ থেকে দেশে কমেছে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাসের দাম। তেলের দামের পতনের ফলে তেল বিপণন সংস্থাগুলি ১৯ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৪ টাকা কমিয়েছে। নতুন দামে দিল্লিতে একেকটি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের মূল্য এখন ১,৭২৩.৫০ টাকা।
গত তিন মাস ধরে টানা কমছে এই গ্যাসের দাম। এপ্রিল মাসে দাম কমেছিল ৪১ টাকা, মে মাসে আরও ১৪.৫০ টাকা। ফলে জুনে আরও এক ধাপ কমার ফলে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়াই এর অন্যতম কারণ। মে মাসে ভারতীয় ক্রুড অয়েল বাস্কেটের গড় দাম ছিল প্রতি ব্যারেল $৬৪.৫, যা সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এর প্রভাব পড়েছে এলপিজি-র দামেও।
তবে এই মূল্য হ্রাস শুধুমাত্র বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে হয়েছে। গৃহস্থালির জন্য ব্যবহৃত ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত থাকছে।
ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ এলপিজি ব্যবহৃত হয় রান্নার জন্য—মূলত গৃহস্থালিতে। বাকি ১০ শতাংশ ব্যবহার হয় হোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকান, শিল্প এবং পরিবহণ খাতে। ফলে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দামে পরিবর্তন এই খাতগুলিকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে।
এছাড়া, এলপিজি-র দাম রাজ্যভেদে ভিন্ন হতে পারে, কারণ এতে স্থানীয় কর এবং পরিবহণ খরচ যুক্ত হয়। তাই দিল্লির মতোই অন্যান্য রাজ্যেও দাম কমলেও, তার অঙ্ক আলাদা হতে পারে।
পাঠকের জিজ্ঞাসা (FAQ):
১. বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের নতুন দাম কত হয়েছে?
দিল্লিতে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের নতুন দাম হয়েছে ১,৭২৩.৫০ টাকা।
২. দাম কমার মূল কারণ কী?
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়াই মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩. গৃহস্থালির এলপিজি সিলিন্ডারের দামও কি কমেছে?
না, গৃহস্থালির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই রয়েছে।
৪. আগের মাসগুলোতেও কি দাম কমেছিল?
হ্যাঁ, এপ্রিল মাসে ৪১ টাকা এবং মে মাসে ১৪.৫০ টাকা কমেছিল বাণিজ্যিক এলপিজি-র দাম।
৫. এই দাম সারা দেশে এক হওয়ার কথা কি?
না, স্থানীয় কর ও পরিবহণ খরচের কারণে রাজ্যভেদে দামে পার্থক্য দেখা যেতে পারে।