Hoop Story

Agriculture: মধ্যপ্রদেশের কৃষকের জমিতে ফলছে লাল ঢেঁড়স, দাম শুনে চক্ষুচড়কগাছ নেট নাগরিকদের

সবুজ রঙের ঢেঁড়স আমরা সবাই দেখেছে এবং খেয়েছি। এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কিন্তু হঠাৎই ভারতবর্ষের মধ্যপ্রদেশে এক কৃষকের বাগানে দেখা মিলল লাল রঙের ঢেঁড়স। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এর কাজুরি কালান জায়গায় এই অদ্ভুত রংয়ের ঢেঁড়স চাষ হচ্ছে। মাঝ বয়সী মিশ্রিলাল রাজপুতের বাগানে এমন ঘটনা ঘটেছে। জুলাই মাসে বীজ বপন করেছিলেন ৪০ দিনের মাথায় আস্তে আস্তে তার বাগান ভরে গেছে এই লাল সবজিতে। সবুজ ঢেঁড়সের থেকে লালা রং এর ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে, এমনটাই দাবি মধ্যপ্রদেশের এই কৃষকের।

৫০০ গ্রামের দাম ৪০০ টাকা। কৃষক দাবি করেছেন, তিনি কোনভাবেই কোন রকম বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেননি। বারানসি এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এখান থেকে ১ কেজি বীজ কিনেছিল। ঢেঁড়সের এই প্রজাতিটি অফিশিয়ালি নাম কাশি লালিমা। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এছাড়া এর মধ্যে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেশন ক্যাপাসিটি অর্থাৎ শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি এছাড়াও বসন্ত এবং গরমকাল এছাড়াও বর্ষাকালে এই ৩ কালেই চাষ করা যেতে পারে খুব সহজেই। ১ হেক্টর জমিতে ১৪ থেকে ১৫ টন কাশি লালিমা উৎপাদন করা সম্ভব। ভারতবর্ষে কাশি লালিমা হওয়ার আগে অবশ্য বিভিন্ন পশ্চিম দেশের দেশগুলি থেকে এগুলিকে আনা হতো।

স্বাস্থ্যের সাথে সাথে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উন্নত হতে পারে। এই চাষ করার ফলে আমাদের দেশে অনেক সময় বিদেশী অনেক শাকসবজির আগমন হয়। এছাড়া আমাদের খাবারের মধ্যেও সেই সমস্ত শাকসবজি সহজেই প্রবেশ করেছে। কিন্তু কেমন হয়, আমরা আমাদের দেশেই এই শাক সবজি গুলো ভালো করে চাষ করি। তাহলে একেবারে মন্দ হয়না। দেশের জিনিস দেশেই থাকলেও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। যেমন লাল-হলুদ ক্যাপসিকাম, লেটুস, স্ট্রবেরি তারপরে বেগুনি বাঁধাকপি তারপরে লেমনগ্রাস ইত্যাদি সব জিনিসই এখন ভারতবর্ষের মাটিতে খুব সহজেই জন্মায়। তাই লাল ঢেঁড়স জন্মানো খুব একটা অসম্ভব কিছু নয়।

whatsapp logo