সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া খ্যাতিকে দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছেন নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)। মমতা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর আসল নাম। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা নন্দিনী দিদি নামেই। ডালহৌসির ভাতের দোকানে জিন্স, টপে ঝকঝকে নন্দিনী দিদি প্রায় একা হাতেই সামলান সব কিছু। সঙ্গে থাকেন বাবাও। মূলত বাবাকে সাহায্য করার জন্য এই দোকানের দায়িত্ব নেন তিনি। রাজ্যের বাইরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি এসেছিলেন কলকাতায়, বাবাকে সাহায্য করতে। তবে তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি নিউটাউনে এক নতুন দোকান খুলেছেন নন্দিনী। ডালহৌসির দোকানে ত্রিপলের বদলে এখানে মাথার উপরে রয়েছে টিনের ছাদ। সম্প্রতি এই দোকানে দাঁড়িয়েই নিজের অতীতের সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেন নন্দিনী দিদি। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়েছেন তিনি। যদিও এই বিষয় নিয়ে তিনি বিশেষ কাজ করতে পারেননি। কাজ করতেন হোটেলে। ভালোই লাভ হত। নোট বাতিলের আগে তাঁর নিজের ব্যবসা ছিল, যেটা বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান নন্দিনী। তাঁর ইচ্ছা ছিল বাবা মাকে নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে রাখবেন। কিন্তু তাঁর মা রাজি হলেও বাবা রাজি হননি। কারণ লকডাউনের আগেই ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল খুলেছিলেন তিনি।
নন্দিনী জানান, তাঁর বাবার কথাতেই তিনি ডালহৌসিতে গিয়েছিলেন হোটেল দেখতে। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো তাঁর এখনকার নিউটাউনের দোকানের মতো হবে হোটেলটা। কিন্তু তিনি দেখেছিলেন, তাঁর বাবা ফুটপাতে বসে মাজছেন। মানতে পারেননি নন্দিনী। তিনি বলেন, এখনো মনে রয়েছে তাঁর, সেদিন দোকান ভাঙচুরের পর বাড়িতে এসেও বাবার সঙ্গে মারপিট করেছিলেন। তবে বাবাকে একটা কথাও দিয়েছিলেন নন্দিনী, নিজের একটি ছোট দোকান করে দেবেন যেখানে টিনের চাল থাকবে।
আজ ডালহৌসি ছাড়াও নিউটাউনে হোটেল রয়েছে নন্দিনীর। তাঁর নিউ টাউনের দোকান উদ্বোধনের একটি ভিডিও-ও বেশ ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিওতে নন্দিনীকে দেখা গিয়েছিল নীল রঙের হ্যান্ডলুম শাড়ি পরে। কাঁধের উপরে ফেলা একটি কালো রঙের চাদর। বাবাকে পাশে নিয়ে কেক কাটতে দেখা গিয়েছিল নন্দিনী দিদিকে। সকাল থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত ডালহৌসির দোকান সামলাবেন নন্দিনী। তারপরসেই দোকান বন্ধ করে আসবেন নিউটাউনে। এই দোকান খোলা থাকবে রাত ১১ টা পর্যন্ত।
View this post on Instagram