কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫ সালের ২২ মে থেকে সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (পেনশন) সংশোধনী রুলস কার্যকর করেছে, যা সরকারি কর্মচারীদের পেনশন সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বিশেষত, পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং (PSU) তে কর্মরত এবং ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দুর্নীতি, শৃঙ্খলাভঙ্গ বা গাফিলতির কারণে চাকরি হারানো কর্মীরা পেনশন পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তবে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়, যেমন রেলকর্মী, আইএএস, আইপিএস, ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মীরা।
বর্তমানে সরকারি কর্মীরা পেনশন পাচ্ছেন দুই শর্তে – ভবিষ্যতে ভালো আচরণ সাপেক্ষে অথবা সরকারি নিয়ম অনুসারে অনুকম্পামূলক ভাতা হিসেবে। নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য পাবলিক সেক্টরে শৃঙ্খলা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা। দুর্নীতি ও অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার মাধ্যমে সরকারি কর্মীদের মধ্যে সততা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিবর্তনের ফলে অনেক কর্মীর পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা পাবলিক সেক্টরে দুর্নীতির কারণে চাকরি হারিয়েছেন, তারা পেনশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তবে আইএএস, আইপিএস, রেলকর্মী ও ফরেস্ট সার্ভিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও উত্তর:
১. নতুন পেনশন নিয়ম কখন থেকে কার্যকর হয়েছে?
২০২৫ সালের ২২ মে থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
২. কোন কর্মীরা এই নতুন নিয়মের আওতায় পড়বেন?
২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং পরবর্তীতে PSU-তে স্থানান্তরিত সরকারি কর্মীরা এই নিয়মের আওতায় পড়বেন।
৩. পেনশন বাতিলের কারণ কী হতে পারে?
দুর্নীতি, গাফিলতি বা শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে চাকরি হারালে পেনশন বাতিল হতে পারে।
৪. কোন ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়?
রেলকর্মী, আইএএস, আইপিএস, ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
৫. নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য কী?
পাবলিক সেক্টরে শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।