সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—যাঁদের রেশন কার্ড আছে, তাঁদের জন্য ই-কে ওয়াইসি (e-KYC) বাধ্যতামূলক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে রেশন সুবিধা। তাই আগামী ৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে আধার নম্বরের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করতেই হবে।
কী এই ই-কে ওয়াইসি?
e-KYC অর্থাৎ Electronic Know Your Customer পদ্ধতির মাধ্যমে আধার নম্বর ব্যবহার করে ডিজিটাল যাচাইকরণ করা হয়। এতে OTP বা বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় ব্যক্তির পরিচয়। এই প্রক্রিয়ায় সরকার নিশ্চিত করতে চায়, প্রকৃত উপভোক্তারাই যেন রেশন পান।
সময়মতো না করলে বন্ধ হয়ে যাবে সুবিধা
যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ই-কে ওয়াইসি করবেন না, তাঁদের রেশন কার্ড অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ফলে সরকারী রেশন বা খাদ্যসামগ্রী পাওয়া বন্ধ হতে পারে।
অনলাইন এবং অফলাইন দুই পথেই সুবিধা
এই প্রক্রিয়া অনেক রাজ্যে অনলাইনে করা যাচ্ছে রাজ্যের PDS পোর্টালে গিয়ে OTP যাচাইকরণের মাধ্যমে। অন্যদিকে, যাঁরা ডিজিটাল পরিষেবায় সুবিধা পান না, তাঁরা অফলাইনে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস, রেশন দোকান বা ব্লক অফিসে গিয়ে ই-কে ওয়াইসি করাতে পারেন।
আধার বাধ্যতামূলক, না থাকলে পেতে হবে
এই প্রক্রিয়ার জন্য আধার নম্বর আবশ্যক। যাঁদের আধার নেই, তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে আধার বানাতে হবে বা পুরনো আধার আপডেট করিয়ে নিতে হবে। না হলে রেশন কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কেন এই পদক্ষেপ?
সরকারের মতে, বহু জাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে বহু মানুষ অবৈধভাবে রেশন সুবিধা নিচ্ছেন। এই অনিয়ম রুখতে ও প্রকৃত দরিদ্রদের সঠিকভাবে রেশন পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ। এতে পদ্ধতিটি হবে স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)
1. ই-কে ওয়াইসি না করলে কী হবে?
সঠিক সময়ে ই-কে ওয়াইসি না করলে রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে এবং সরকারী রেশন পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
2. কাদের জন্য এই ই-কে ওয়াইসি প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক?
যাঁদের কাছে বৈধ রেশন কার্ড আছে, তাঁদের সকলের জন্যই এটি বাধ্যতামূলক।
3. ই-কে ওয়াইসি কোথায় ও কীভাবে করা যায়?
অনলাইনে করা যায় রাজ্যের PDS পোর্টালের মাধ্যমে; অফলাইনে স্থানীয় রেশন দোকান বা প্রশাসনিক অফিসে গিয়ে করা যায়।
4. আধার না থাকলে কী করা উচিত?
তৎক্ষণাৎ আধার কার্ড তৈরি করতে হবে বা পুরনো আধার কার্ড আপডেট করিয়ে নিতে হবে।
5. এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য কী?
জাল রেশন কার্ড বন্ধ করে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য।