নোট হাতে নেওয়ার সময় একবার ভাল করে খেয়াল করছেন তো? কারণ ২০২৪–২৫ সালে জাল ৫০০ টাকার নোটের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, শুধুমাত্র এই এক বছরে ১,১৭,৭২২টি জাল ৫০০-এর নোট ধরা পড়েছে, যা আগের বছর ছিল ৮৫,৭১১। একইসঙ্গে জাল ২০০ নোটের সংখ্যাও ১৩.৯ শতাংশ বেড়েছে। সাধারণ নাগরিকদের সচেতন করতে রিজার্ভ ব্যাংক ফের মনে করিয়ে দিয়েছে, কীভাবে খুব সহজেই চেনা যাবে আসল ৫০০ নোট।
কীভাবে চিনবেন আসল ৫০০ নোট?
বর্তমানে বাজারে প্রচলিত ৫০০-এর নোটটি ২০১৬ সালের মহাত্মা গান্ধী (নতুন) সিরিজের। এই নোটের রঙ স্টোন-গ্রে এবং পেছনে রয়েছে লালকেল্লা-র ছবি। নোটের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিমি এবং প্রস্থ ৬৬ মিমি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই নোটে রয়েছে মোট ১৭টি নিরাপত্তা চিহ্ন, যা আসল ও জাল নোটের মধ্যে পার্থক্য করে দিতে পারে।
নিচে দেওয়া হল সেই ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য—
-
See-through register–নোটে খালি জায়গা যেখানে ‘৫০০’ সংখ্যা দেখা যায় আলোর বিপরীতে।
-
Latent image–গান্ধীজির ছবির পাশে লুকানোভাবে লেখা ‘৫০০’।
-
Devanagari numerals–হিন্দি হরফে লেখা ‘৫০০’।
-
Watermark–গান্ধীর মুখ ও ‘৫০০’-এর জলছাপ।
-
Micro lettering–ছোট আকারে RBI ও ৫০০ লেখা থাকে।
-
Security thread–সবুজ ও নীল রঙ পরিবর্তনকারী নিরাপত্তা সুতো, তাতে লেখা RBI ও INDIA।
-
Intaglio print–দৃষ্টিহীনদের জন্য উঁচু ছাপ, গান্ধী, অশোকস্তম্ভ ইত্যাদি।
-
Electrotype watermark
-
Number panel–ক্রমাগত বড় হতে থাকা সংখ্যা।
-
Colour changing ink–’৫০০’ সংখ্যা সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হয়।
-
Ashoka emblem–নোটের ডানদিকে অশোকস্তম্ভ।
-
Year of printing
-
Swachh Bharat logo and slogan
-
Language panel–বিভিন্ন ভাষায় লেখা ৫০০।
-
Red Fort motif–পেছনের দিকের মূল চিত্র।
-
RBI Governor’s signature
-
Mahatma Gandhi portrait (right aligned)
এই ১৭টি বৈশিষ্ট্য মিলে সহজেই জানা যাবে আপনার হাতে থাকা ৫০০ নোটটি আসল কি না। জালিয়াতদের প্রতারণা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের সচেতনতাই এখন সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQs)
১. এই মুহূর্তে কোন মূল্যের নোটে সবচেয়ে বেশি জাল নোট ধরা পড়ছে?
→ ₹৫০০ টাকার নোটে সবচেয়ে বেশি জালিয়াতি ধরা পড়েছে, যার পরিমাণ ২০২৪–২৫ সালে ছিল ১,১৭,৭২২।
২. এই ৫০০ টাকার নোটের রঙ এবং ডিজাইন কেমন?
→ এই নোটের রঙ স্টোন-গ্রে এবং পিছনে লালকেল্লা-র ছবি রয়েছে।
৩. চোখে দেখা কোন বৈশিষ্ট্যগুলো দিয়ে আসল নোট বোঝা যাবে?
→ যেমন see-through register, watermark, colour-changing ink এবং অশোকস্তম্ভের ছাপ।
৪. দৃষ্টিহীনদের জন্য কী ধরনের বৈশিষ্ট্য রাখা হয়েছে?
→ Intaglio printing-এর মাধ্যমে গান্ধীজির মুখ, অশোকস্তম্ভ, দাগযুক্ত লাইন ইত্যাদি উঁচু ছাপে তৈরি করা হয়েছে।
৫. কবে থেকে এই ৫০০ টাকার নোট চালু হয়েছে?
→ এই নোটটি চালু হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে, নোটবন্দির পর।