বর্তমানে দেশের মানুষের হাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ৫০০ টাকার নোট নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI) স্পষ্ট জানিয়েছে, ৫০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং, এটির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং নগদ লেনদেনকে সহজ করতে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য হলো ছোট ছোট নোটের প্রচলন বাড়িয়ে মানুষজনের দৈনন্দিন লেনদেনের সুবিধা বৃদ্ধি করা।
রিজার্ভ ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে যে আগামী ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের ৭৫% এটিএম-এ অবশ্যই ₹১০০ বা ₹২০০ নোট সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এরপর ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই অনুপাত ৯০% এ উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ছোট মুল্যের নোট সহজলভ্য হয়ে উঠবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য নগদ লেনদেনকে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।বর্তমানে ৫০০ টাকার নোট দেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত। দেশের সব নোটের মধ্যে ৪০.৯% সংখ্যা এবং মোট মুল্যের ৮৬%ই এই নোটের মধ্যে রয়েছে। এ কারণে ৫০০ টাকার নোট বাজার থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবাও যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং ঝামেলার কারণ হতে পারে।
তবে, ৫০০ ও ২০০ টাকার নোট জালিয়াতির পরিমাণ বাড়ছে। অন্যদিকে, ₹১০, ₹২০ ও ₹২০০০ নোটের জালিয়াতির পরিমাণ কমেছে। রিজার্ভ ব্যাংক এই সমস্যার মোকাবিলায় সতর্ক ও সক্রিয় রয়েছে।আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রিজার্ভ ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা (e₹) ব্যাপক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল ৫০০ টাকার নোটের ব্যবহার ৩৩৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল মুদ্রা আগামী দিনের অর্থ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন:
১. ৫০০ টাকার নোট কি বন্ধ হচ্ছে?
না, রিজার্ভ ব্যাংক কোনো নির্দেশনা দেননি ৫০০ টাকার নোট বন্ধ করার জন্য।
২. কেন এত জোর দেওয়া হচ্ছে ১০০ ও ২০০ টাকার নোটের সরবরাহ বাড়াতে?
ছোট মুল্যের নোট লেনদেনকে সহজ ও সুবিধাজনক করতে এবং নগদ লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে।
৩. ৫০০ টাকার নোটের বাজারে প্রভাব কী?
৫০০ টাকার নোট এখনও দেশের সবচেয়ে প্রচলিত ও মূল্যবান নোট।
৪. জালিয়াতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে?
রিজার্ভ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারি চালিয়ে জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
৫. ডিজিটাল মুদ্রার ব্যাপক ব্যবহার কীভাবে বাড়ছে?
ডিজিটাল ৫০০ টাকার নোট সহ বিভিন্ন ডিজিটাল নোটের ব্যবহার সম্প্রতি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।