রাতভর ট্রেন চলাচলে বিরাট প্রভাব! শিয়ালদহ–দমদম রেলপথে একটানা ১০ ঘণ্টা ধরে ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লক কার্যকর থাকছে। ফলে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু যাত্রীকে পড়তে হতে পারে চরম সমস্যায়। ২৮ জুন, রাত ১০টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ২৯ জুন সকাল ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এই ব্লক চলবে। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম জংশনের ২ ও ৩ নম্বর ব্রিজে রক্ষণাবেক্ষণ এবং রিগার্ডারিংয়ের কাজের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। ব্লকের সময় শিয়ালদহ ডিভিশনের অন্তর্গত একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে, আবার কিছু ট্রেন চলবে সংক্ষিপ্ত রুটে।
ব্লকের কারণে নৈহাটি, রানাঘাট, ব্যারাকপুর, বনগাঁও, গোবরডাঙা, হাসনাবাদ, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, বারাসত ও দত্তপুকুর রুটে চলা ট্রেনগুলি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে। শনিবারের ধাপে অন্তত ১০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রোববারে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে—প্রায় ২০টি ট্রেন চলবে না কিংবা চলবে পরিবর্তিত রুটে। সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অফিসযাত্রী ও পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বাড়ার আশঙ্কা। রেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বিকল্প ভ্রমণ পরিকল্পনার পরামর্শ দিয়েছেন যাত্রীদের, যাতে ব্লকের সময় তারা অপ্রত্যাশিত ভোগান্তিতে না পড়েন। এমন রক্ষণাবেক্ষণ কাজ রেলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এই ব্লক ঘিরে বড় সংখ্যক যাত্রীর যাতায়াত পরিকল্পনায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. কেন ট্রাফিক ব্লক নেওয়া হয়েছে?
শিয়ালদহ–দমদম শাখার ২ ও ৩ নম্বর ব্রিজে রিগার্ডারিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্যই এই ব্লক নেওয়া হয়েছে।
২. ব্লক কখন কার্যকর থাকবে?
২৮ জুন রাত ১০টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ২৯ জুন সকাল ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এই ব্লক চালু থাকবে।
৩. কয়টি লোকাল ট্রেন বাতিল বা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে?
প্রায় ৩০টি লোকাল ট্রেন সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে অথবা সংক্ষিপ্ত রুটে চালানো হবে।
৪. কোন রুটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে?
নৈহাটি, রানাঘাট, বনগাঁও, গোবরডাঙা ও কৃষ্ণনগর রুটে চলা ট্রেনগুলিই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
৫. যাত্রীদের কী পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে?
রেল যাত্রীদের বলা হয়েছে তারা যেন আগেভাগে বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থা খুঁজে বের করেন এবং ব্লক চলাকালীন ভ্রমণ পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন।