রবিবার সকালটা অনেক নিত্যযাত্রীর কাছেই শুরু হয়েছিল হতাশা দিয়ে। ট্রেন ধরতে গিয়ে দেখা গেল বাতিল হয়েছে একাধিক লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন। কারণ? দমদম জংশনে নির্ধারিত পাওয়ার ব্লক ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। ফলস্বরূপ, ২১ ও ২২ জুন শিয়ালদহ-বঙ্গন রুটে ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।রেল কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে, ২১ জুন রাত ১০:৫০ থেকে ২২ জুন সকাল ৫:৫০ পর্যন্ত দমদম ডাউন মেন লাইনে ব্লক থাকবে। এই সময়ের মধ্যেই ট্র্যাকের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলেছে, যা জরুরি ছিল রেলপথের নিরাপত্তা ও গতিশীলতা বজায় রাখতে।
শনিবার (২১ জুন) যে ট্রেনগুলি বাতিল হয়:
-
শিয়ালদহ–বঙ্গন রুট: আপ ৩৩৮৬১, ডাউন ৩৩৮৬৩ ও ৩৩৮৬০
-
শিয়ালদহ–ডানকুনি রুট: আপ ৩২২৪৭, ৩২২৪৯; ডাউন ৩২২৫০, ৩২২৫২
-
বারুইপাড়া রুট: আপ ৩২৪১৩, ডাউন ৩২৪১৪
রবিবার (২২ জুন) বাতিল ট্রেনগুলির তালিকা ছিল আরও দীর্ঘ:
-
ডানকুনি রুট: আপ ৩২২১১, ৩২২১৩, ৩২২১৫; ডাউন ৩২২১২, ৩২২১৪, ৩২২১৭
-
বঙ্গন রুট: আপ ৩৩৮১১, ৩৩৮১৩; ডাউন ৩৩৮১৬, ৩৩৮২২
-
হাসনাবাদ রুট: আপ ৩৩৫১১, ডাউন ৩৩৫১২
-
বারাসাত রুট: আপ ৩৩৪৩১
-
নৈহাটি রুট: আপ ৩১৪১১, ডাউন ৩১৪১২
-
হাবড়া রুট: আপ ৩৩৬৫১, ডাউন ৩৩৬৫২
-
কল্যাণী সীমান্ত রুট: আপ ৩১৩১১, ডাউন ৩১৩১২
-
দত্তপুকুর রুট: ডাউন ৩৩৬১২
শুধু লোকাল ট্রেনই নয়, দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতেও ছিল পরিবর্তনের ছাপ। পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময় ৭:৪৫ PM থেকে পিছিয়ে রাত ১০:১৫ PM-এ ছাড়ে। এছাড়া উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ও দার্জিলিং মেল-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি ডানকুনি না গিয়ে বান্দেল-নৈহাটি হয়ে শিয়ালদহ পৌঁছেছে।২২ জুন আরও একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছিল—ডাউন শিয়ালদহ-বঙ্গন লোকাল ট্রেন কেবল দমদম থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চালানো হয়, পুরো রুটে নয়।রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ট্র্যাক ব্লক আগাম পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত এবং তা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। তবে এতে অস্বস্তি পোহাতে হয়েছে বহু যাত্রীকে, বিশেষত যাঁরা বিকল্প রুট বা গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেননি।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQs):
১. কবে এবং কোথায় ট্র্যাক ব্লক হয়েছিল?
→ ২১ জুন রাত ১০:৫০ থেকে ২২ জুন সকাল ৫:৫০ পর্যন্ত দমদম ডাউন মেন লাইনে ট্র্যাক ব্লক জারি ছিল।
২. কোন কোন রুটে ট্রেন বাতিল হয়েছে?
→ শিয়ালদহ থেকে বঙ্গন, ডানকুনি, হাসনাবাদ, নৈহাটি, হাবড়া, কল্যাণী সীমান্ত, বারাসাত ও দত্তপুকুর রুটে একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে।
৩. দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে কী পরিবর্তন হয়েছিল?
→ দুরন্ত এক্সপ্রেস দেরিতে ছাড়ে, এবং উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ও দার্জিলিং মেলকে অন্য রুটে ঘুরিয়ে চালানো হয়।
৪. কী কারণে এই ট্রেন বাতিল ও রিরাউটিং?
→ রক্ষণাবেক্ষণ ও পাওয়ার ব্লকের কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
৫. আগামী দিনগুলিতে কি আরও ব্লক বা বাতিলের সম্ভাবনা আছে?
→ রেল দপ্তর অনুযায়ী, প্রয়োজনে এই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ভবিষ্যতেও হতে পারে; যাত্রীদের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।