শিয়ালদহ-লালগোলা লাইনের যাত্রীদের জন্য এল বড় সুখবর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পূর্ব রেলওয়ের মেমু ট্রেনগুলিতে পুনরায় চালু হল শৌচাগার পরিষেবা, যা যাত্রীদের স্বস্তি দিয়েছে। বিশেষত, দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া প্রবীণ ও মহিলা যাত্রীদের জন্য এই পরিষেবা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়।
মেমু ট্রেনগুলিতে শৌচাগারের অনুপস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন যাত্রীরা। পূর্বে এই ট্রেনগুলি মেমু রেক দিয়ে চালানো হত, যাতে শৌচাগার থাকত। কিন্তু রেকের অভাবে এই পরিষেবা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং ইএমইউ রেক দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছিল, যাতে শৌচাগার ছিল না। এর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে।
এই পরিস্থিতি নিয়ে যাত্রীদের একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। এমনকি, রাজনৈতিক মহলেও বিষয়টি গুরুত্ব পায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পর্যালোচনা করে এবং নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছয়।পূর্ব রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৪ জুন ২০২৫ থেকে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার নয়টি মেমু ট্রেন নতুনভাবে দুটি ভাগে চালানো হবে — একটি শিয়ালদহ/কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত এবং অপরটি কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলা পর্যন্ত। এতে ব্যবহৃত হবে মেমু রেক, ফলে শৌচাগার সুবিধাও আবার পাওয়া যাবে।
এই পরিবর্তনের ফলে যাত্রীরা যেমন দীর্ঘ যাত্রায় স্বস্তি পাবেন, তেমনই রেল পরিষেবার গুণগত মানও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাত্রী স্বার্থে নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বহু যাত্রী ও সামাজিক সংগঠন। ট্রেন ভ্রমণে সুস্থ ও সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে মত পরিবহণ বিশারদদের।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. কেন বন্ধ হয়েছিল মেমু ট্রেনের শৌচাগার পরিষেবা?
মেমু রেকের ঘাটতির কারণে কিছুদিন মেমু ট্রেন ইএমইউ রেক দিয়ে চালানো হচ্ছিল, যেখানে শৌচাগার ছিল না।
২. কবে থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে শৌচাগার পরিষেবা?
৪ জুন ২০২৫ থেকে শিয়ালদহ-লালগোলা লাইনের মেমু ট্রেনগুলিতে শৌচাগার আবার চালু হচ্ছে।
৩. ট্রেনগুলির রুটে কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে?
হ্যাঁ, ট্রেনগুলি দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে — শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর এবং কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলা।
৪. যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অসুবিধা বিবেচনায় মেমু রেক ফের চালু করে শৌচাগার পরিষেবা ফিরিয়ে এনেছে।
৫. এই পরিবর্তনের ফলে কারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন?
বিশেষত বয়স্ক, মহিলা ও দীর্ঘ যাত্রার যাত্রীরা এতে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পাবেন।