সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ট্রেনে যাতায়াতের পরিকল্পনা থাকলে আগেভাগেই জেনে নিন সময়সূচি। সিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক শাখায় শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে মোট ৪৬টি লোকাল ট্রেন। শিয়ালদহ-শান্তিপুর শাখায় চতুর্থ লাইন বসানোর কাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে।জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রবিবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চালু থাকবে নন-ইন্টারলকিং সংক্রান্ত মেইন্টেন্যান্স কাজ। এর প্রভাব পড়বে শান্তিপুর শাখার একাধিক ট্রেন চলাচলে। বিশেষ করে কলীনারায়ণপুর থেকে শান্তিপুর সেকশনের মধ্যে এই উন্নয়নমূলক পরিকাঠামোগত কাজ চলবে। ফলে যাত্রীদের রুট বদল বা বিকল্প যানবাহনের ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে।
কী কী ট্রেন বাতিল হচ্ছে?
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র শুক্রবারই বাতিল করা হয়েছে ৬টি ট্রেন। এর মধ্যে আপ লাইনে ৩১৫৩৭, ৩১৫৩৯, ৩১৫৪১ এবং ডাউন লাইনে ৩১৫৩৮, ৩১৫৪০, ৩১৫৪২ বাতিল হবে।শনিবারের তালিকায় আরও বড় প্রভাব পড়তে চলেছে। শিয়ালদহ–শান্তিপুর ছাড়াও রানাঘাট–শান্তিপুর, রানাঘাট–কৃষ্ণনগর এবং শিয়ালদহ–কৃষ্ণনগর শাখার একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রবিবারও একইভাবে ওই রুটগুলিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
সময়সূচির কিছু পরিবর্তনও থাকছে
শুধু বাতিল নয়, নির্দিষ্ট কিছু ট্রেনের সময়সূচিতেও সাময়িক বদল আনা হয়েছে।
-
শান্তিপুর থেকে শিয়ালদহগামী ৩১৫১২ লোকালটি শুক্রবার ভোর ৩:২২-এর পরিবর্তে ছাড়বে ৪:০৭-এ।
-
লালগোলা থেকে শিয়ালদহগামী ৫৩১৭২ ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি শুক্রবার রাত ১০:১৫-র পরিবর্তে ছাড়বে শনিবার মধ্যরাতে ১২:১৫-এ।
এই পরিস্থিতিতে রেলের তরফে যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে, যাত্রার আগে অবশ্যই রুট ও ট্রেনের সর্বশেষ সময়সূচি যাচাই করে নিতে।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. কেন এই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে?
চতুর্থ লাইন বসানোর কাজ ও নন-ইন্টারলকিং কাজের জন্য এই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২. কোন কোন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে?
শিয়ালদহ–শান্তিপুর, রানাঘাট–শান্তিপুর, রানাঘাট–কৃষ্ণনগর এবং শিয়ালদহ–কৃষ্ণনগর শাখায় প্রভাব পড়বে।
৩. কাজ কতদিন ধরে চলবে?
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রবিবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে কাজ।
৪. ট্রেনের সময়সূচি কোথায় দেখা যাবে?
ভারতীয় রেলের অফিসিয়াল অ্যাপে, স্টেশন নোটিশ বোর্ড এবং অনলাইন পোর্টালে সময়সূচি পাওয়া যাবে।
৫. যাত্রীদের জন্য রেলের পক্ষ থেকে কোনও বিকল্প পরিষেবা রয়েছে কি?
এই বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও বিকল্প পরিষেবা ঘোষণা করা হয়নি, তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।