whatsapp channel

সীমা হায়দারের পরিচয়ে ভারতে ঢুকেছেন মারিয়াম খান, জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য এল ATS-এর হাতে

অনলাইন গেম থেকেই প্রেমের ফাঁদে ভারতীয় যুবককে ফেলে ভারতে অনুপ্রবেশ পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দারের। প্রথমে ধরা হয় যে প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে নিজের একরত্তি বাচ্চাদের নিয়ে প্রেমিক শচীনের…

Debaprasad Mukherjee

Debaprasad Mukherjee

অনলাইন গেম থেকেই প্রেমের ফাঁদে ভারতীয় যুবককে ফেলে ভারতে অনুপ্রবেশ পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দারের। প্রথমে ধরা হয় যে প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে নিজের একরত্তি বাচ্চাদের নিয়ে প্রেমিক শচীনের কাছে ছুটে এসেছিলেন এই মহিলা। কিন্তু যতই সময় পেরোয় ততই সীমা হায়দারকে নিয়ে ঘনীভূত হতে শুরু করে রহস্য। সীমাকে ISI এজেন্ট সন্দেহ করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত। যদিও এই তদন্তে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ATS। তবে এখনো তার আসল পরিচয় ও উদ্দেশ্য নিয়ে থেকেই গেছে ধোঁয়াশা। আর এবার এই মহিলার আরেকটি নাম উঠে এল সূত্রের মাধ্যমে।

ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে তিন বছর আগে। সূত্রের খবর, অনলাইন ব্যাটেলগ্রাউন্ড গেম PUBG খেলার সময় ২০১৯ সালে ভারতের সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় পাকিস্তানি সীমার। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে জমে ওঠে বন্ধুত্ব, আর সেই বন্ধুত্ব ক্রমেই পরিণত হয় প্রেমের। আর কিছুদিন আগেই নাকি ২২ বছরের বয়সী শচীনের প্রেমের টানে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন ৩০ বছর বয়সী সীমা। সঙ্গে ছিল তাঁর চার সন্তান, যাদের সবার বয়সই সাত বছরের কম। প্রথমে সকলেই এটিকে নিখাদ প্রেম বলে ধরে নেন সকলেই। তবে ধীরে ধীরে ঘটনার খোলস খুলতে থাকে এক এক করে।

ভিসা ছাড়া নেপালের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ৪ জুলাই গ্রেফতার হন ওই পাকিস্তানি মহিলা। তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার হন শচীন এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল। পরে জামিনে ছাড়া পান তাঁরা। তবে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সীমা দাবি করেন, তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি আর তাঁর পদবি ব্যবহার করবেন না বলেও জানান। এর পরেই উল্লেখযোগ্য যে, মঙ্গলবার রাতে সীমা, তাঁর প্রেমিক সচিন, সচিনের বাবা এবং সীমার সন্তানদের নিয়ে নয়ডা অফিস থেকে বার হয় ATS আধিকারিকরা।

এবার সেই তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে ATS সূত্রে খবর। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে নাকি সীমা জানিয়েছিলেন যে গেমে তার নাম ছিল মারিয়াম খান। তবে তার আসল নাম সীমা হায়দার হলেই দাবি করেন তিনি। এছাড়াও আরো নানা বিষয় নিয়ে অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তার ইংরেজি বলা নিয়েও নাকি রয়েছে অসঙ্গতি। আর এইসব বিষয় দেখে অনেকেই তাকে একজন প্রশিক্ষিতা ISI এজেন্ট বলে দাবি করছেন।

whatsapp logo
Debaprasad Mukherjee
Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা