পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (Dearness Allowance) সংক্রান্ত এক বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিবেদন অবশেষে জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছে। ক্যালকাটা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত এই ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট রাজ্যের ডিএ সংক্রান্ত নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দিশা দেখিয়েছে। এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার বাধ্য নয়। বরং, প্রতিটি রাজ্য তার নিজস্ব তহবিল এবং আর্থিক সামর্থ্যের ভিত্তিতে ডিএ নির্ধারণ করতে পারে। ফলে রাজ্য সরকার তাদের আর্থিক পরিকাঠামো বিবেচনা করে কত শতাংশ ডিএ দেওয়া সম্ভব, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীন থাকবে।
উল্লেখযোগ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিএ পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এমনকি ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে রাজ্যের বহু কর্মীর বকেয়া ডিএ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই রিপোর্টে পঞ্চম কমিশনের সময়ের ওই বকেয়ার উল্লেখ করা হয়নি। রিপোর্ট প্রকাশের বিষয়ে ক্যালকাটা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ১ জুলাইয়ের মধ্যে এটি জনসমক্ষে আনতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তী শুনানির তারিখও নির্ধারিত হয়েছে।
কর্মীদের পক্ষ থেকে কংফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ্ জানিয়েছে, যদিও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, তবে রাজ্য নিজের তহবিল থেকে যতটা সম্ভব, কর্মীদের আর্থিক সুরক্ষায় সহায়তা করুক, এই প্রত্যাশা রয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন সামনে আসার ফলে এখন সরকারি কর্মীরা তাঁদের যোগ্যতা ও গ্রেড অনুযায়ী ডিএ পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও বাস্তব সম্মত দৃষ্টিভঙ্গি আশা করতে পারেন। পরবর্তী শুনানির ভিত্তিতে রিপোর্টের বাস্তবায়ন এবং ডিএ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে নজর রাখছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
প্রশ্নোত্তর: ডিএ নিয়ে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
১. ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট কোন আদালতের নির্দেশে প্রকাশ করা হলো?
➤ ক্যালকাটা হাইকোর্টের নির্দেশে রিপোর্টটি ১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল।
২. রাজ্য কি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে বাধ্য?
➤ না, রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য তার নিজস্ব তহবিল ও সক্ষমতার ভিত্তিতে ডিএ নির্ধারণ করতে পারবে।
৩. বকেয়া ডিএ রিপোর্টে কীভাবে বিবেচিত হয়েছে?
➤ ২০০৯–২০১৯ সময়ের বকেয়া ডিএ-র বিষয়ে রিপোর্টে কোনও উল্লেখ নেই।
৪. ডিএ পাওয়ার নিয়ম কীভাবে নির্ধারিত হবে?
➤ কর্মীদের গ্রেড ও কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ডিএ দেওয়া হবে।
৫. পরবর্তী শুনানির দিন কবে?
➤ রিপোর্ট প্রকাশের পর শুনানি হবে ১ জুলাইয়ের পরে।