ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বহু প্রাচীনকাল থেকে মুলতানি মাটি ফেসপ্যাক ত্বকের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদি ত্বকের যে কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে অবশ্যই ব্যবহার করুন মুলতানি মাটি। তবে যাদের শুষ্ক ত্বক তারা যদি মুলতানি মাটির ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে মুলতানি মাটি কিন্তু লাগানোর পরে অতিরিক্ত ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক ব্যবহারের করে কয়েকটা টিপস ফলো করতে পারেন।
বহু প্রাচীন কাল থেকেই মুলতানি মাটি রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই বর্তমানে আর কোনরকম কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না, মুলতানি মাটি একবার ব্যবহার করেই দেখুন। তাই আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন মুলতানি মাটির উপকারিতা এবং যদি ত্বক শুষ্ক হয়, তারপরে কি ব্যবস্থা নেবেন এটাও জেনে নিন।
মুলতানি মাটি ব্যাবহার এর উপকারিতা-
১) মুলতানি মাটি ত্বকের ব্রণ ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
২) মুলতানি মাটি নিয়মিত লাগালে ত্বকের রংও পরিষ্কার হয়। কালো দাগ দূর হবে।
৩) মুলতানি মাটির ব্যবহার ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে।
মুলতানি মাটি প্রয়োগ করার পদ্ধতি –
মুখে মুলতানি মাটি লাগানোর পর সব সময় পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপরে, তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছার পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
জেনে নিন মুখের শুষ্কতা দূর করতে কিছু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার –
১) অ্যালোভেরা জেল লাগাতে হবে। সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা। মুলতানি মাটির পরে অ্যালোভেরা জেল লাগালে শুধু শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না, বরং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
২) গ্লিসারিন ব্যবহার করে দেখতে পারেন। শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতেও গ্লিসারিনের সাথে জল মিশিয়ে ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো হতে পারে। এর পাশাপাশি, মুলতানি মাটির পরে ত্বকে গ্লিসারিন লাগালে মুখের ব্রণ, দাগ এবং সূক্ষ্ম রেখাও কমে যায়।
৩) নারকেল তেলের সাহায্য নিতে পারেন। পুষ্টি গুণে ভরপুর নারকেল তেল, ত্বকের শুষ্কতা দূর করার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়ে আসছে এতদিন ধরে। নারকেল তেল ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজড করতে সাহায্য করে। ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর, নরম করতে সাহায্য করে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।
