ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক বড়সড় সিধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। তার মধ্যে সবথেকে বড় সিধান্ত ছিল নোটবন্দি। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে দেশের কালো টাকা নিধন করতে তৎকালীন চলতি ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের সিধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে তার এই সিদ্ধান্তে আলোড়ন পড়ে যায় দেশজুড়ে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে দেশবাসীর বছরখানেক সময়ও লেগে যায়।
তবে ২০১৬ সালে দেশের দুটি সর্ববৃহৎ নোট বাতিল করা হলেও নতুনভাবে চালু করা হয় ৫০০ ও ২,০০০ টাকার নোট। এই বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কও হয় বিস্তর। ২০২৩-এর শুরু থেকেই এই নোট ক্রমেই মানুষের হাতে আসা কমে কমে যায় ২,০০০ টোকার নোটের লেনদেনও। শেষমেষ এই নোটটিকেও বাতিল করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। এক ঘোষণায় বলা হয় যে আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এর পর দেশে আর চালু থাকবে না ২,০০০ টাকার নোট। অর্থাৎ এখন বাজারে ৫০০ টাকার নোট হল সবথেকে বড় নোট। আর এবার এই নোটকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়ল এক বিতর্ক।
কয়েকদিন ধরেই স্টার (*) চিহ্ন দেওয়া ৫০০ টাকার নোটের ছবি ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই দাবি করছেন যে এই স্টার চিহ্ন দেওয়া নোটগুলি হল জাল নোট। এই ধরণের পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে আগুনের মতো ভাইরাল হতে থাকে। তবে যে পোস্ট থেকে এই খবর ভাইরাল হয় সেখানে বলা হয়, “বাজারে স্টার প্রতীক দেওয়া ৫০০ টাকার নোট ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেরকম নোট ইন্ডাসল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা জাল নোট। এমনকী আজও এক খদ্দেরের থেকে এরকম দুটি-তিনটি নোট পেয়েছি। কিন্তু সতর্ক থাকায় সঙ্গে-সঙ্গে সেগুলি ফিরিয়ে দিয়েছি। ওই খদ্দেরও বলেন যে আজ সকালে তাঁকে অন্য কেউ একজন সেটা দিয়েছেন।”
তবে সম্প্রতি, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশবাসীর এই দ্বন্দ্ব দূর করে দিয়েছে। কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই ধরণের নোট মোটেই জাল নোট নয়। এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুখপাত্র এবং জেনারেল ম্যানেজার যোগেশ দয়ালের জানান, “গত জুলাই মাসে আরবিআইয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল, নতুন করে ছাপানো নোটগুলি চিহ্নিতকরণে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘স্টার’ চিহ্ন দেওয়া হয়। এর সঙ্গে আসল নকলের সম্পর্ক নেই।”