Virat Kohli: মানসিক অবসাদে ভুগছেন ক্যাপ্টেন কোহলি, মনখারাপ নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যর্থতার রেকর্ড গড়ে চলেছেন ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। ২০১৯ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। তবে এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান। ধারাবাহিকভাবে খারাপ পারফরমেন্সের কারণে ইতিমধ্যে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব হারিয়েছেন তিনি। তাছাড়া বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে একাধিক সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন বিরাট কোহলি।
চলতি সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে একাধিক সিরিজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় সাবেক অধিনায়ককে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, আসন্ন এশিয়া কাপে ফের জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করবেন বিরাট। সাথে সাথে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, এশিয়া কাপে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে শত রানের ইনিংস আসবে। আর সেটাই হবে ভারতীয় দলের জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর। তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এশিয়া কাপে বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দল থেকে অপসারিত হতে পারেন তিনি।
দীর্ঘ কয়েক বছরের ব্যর্থতা বিরাট কোহলিকে যেন দিশেহারা করে তুলেছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি একাধিক ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার দরুন মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে বিরাট কোহলিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি ছোলে-বাটুরে খেতে ভালবাসি। মাঝেমাঝে খেয়েও ফেলি। খেলেও কিন্তু নিজের ডায়েট ভুলি না। কখনও ডায়েট ফাঁকি দিই না। ভাজাভুজি খেলে সেই অনুযায়ী অনুশীলন করি যাতে আমার ফিটনেস না কমে।”
সাথে সাথে বিরাট কোহলি আরও বলেন, “শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি অবশ্যই মানসিক সুস্থতার প্রয়োজন। খেলার মাঠে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থাকে। তবে তার মাঝে থাকে সর্বক্ষণের চাপ। যেটা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। শারীরিক ভাবে এক জন যতই সুস্থ থাকুক, মানসিক স্বাস্থ্য এক জনকে ভিতর থেকে তছনছ করে দেয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “মাঝে মাঝে আমার নিজেকে প্রিয়জনের মধ্যেও থেকেও একাকীত্ব বোধ হয়। যে কারণে আমি নিজেকে আরও বেশি সময় দিতে চাইছি। নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে পারলে কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায়।”
View this post on Instagram