ভোটার কার্ড আর মাসখানেক অপেক্ষা করে পৌঁছাবে না—এবার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই পৌঁছবে ঘরে! নির্বাচন কমিশনের নতুন পদক্ষেপে বদলে যাচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড বিতরণের পুরনো ধারা।দেশজুড়ে ভোটার আইডি (EPIC) বিতরণে গতানুগতিক দীর্ঘসূত্রিতা আর থাকবে না। নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) চালু করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, যে কোনও নতুন নাম নথিভুক্তিকরণ বা তথ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোটার কার্ড সর্বাধিক ১৫ দিনের মধ্যেই প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। পূর্বে এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগত প্রায় এক মাস বা তারও বেশি।
কীভাবে সম্ভব হচ্ছে এত দ্রুত ডেলিভারি?
এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে প্রযুক্তির বড় অবদান। ECINet নামক একটি নতুন আইটি মডিউল তৈরি করা হয়েছে, যা সরাসরি ডাক বিভাগ (Department of Posts)-এর API-এর সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে, কার্ড তৈরি থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ SMS-এর মাধ্যমে ট্র্যাক করা যাবে রিয়েল টাইমে। এটি শুধু নির্ভরযোগ্যতাই বাড়ায় না, বরং যাত্রীসুলভ স্বচ্ছতা ও যোগাযোগ সহজ করে তোলে।
কারা উপকৃত হবেন?
এই নতুন ব্যবস্থার আওতায় পড়বে—
-
নতুন ভোটারদের নাম তোলা
-
পুরনো ভোটারদের তথ্য সংশোধন
-
ঠিকানা বা কেন্দ্র পরিবর্তন
-
ছবি বা বয়স সংক্রান্ত সংশোধনী
প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অনলাইনে NVSP পোর্টাল-এর মাধ্যমে Form 6 পূরণ করে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করলে একটি রেফারেন্স নম্বর জেনারেট হবে, যা দিয়ে অনলাইনে স্ট্যাটাস ট্র্যাক করা যাবে।
ডিজিটাল পরিবর্তন কীভাবে সাহায্য করবে?
নতুন এই পদক্ষেপে দেশের কোটি কোটি ভোটারের জন্য প্রক্রিয়া দ্রুত, সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ব্যস্ত নাগরিকদের জন্য এটি কার্যকরী ও নির্ভরযোগ্য একটি পদক্ষেপ। এছাড়া, অতীতে অনেক সময়ই ভোটার কার্ড পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কারণে ভোটদান থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে বহু মানুষকে। এবার সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)
১. ভোটার কার্ড কবে থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে?
→ নতুন SOP অনুসারে, এখন থেকে প্রতিটি নতুন ভোটার অথবা আপডেট করা আবেদনকারীর কার্ড ১৫ দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে।
২. কিভাবে অনলাইনে আবেদন করা যাবে?
→ NVSP পোর্টালে লগইন করে Form 6 পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে।
৩. SMS ট্র্যাকিং কীভাবে কাজ করে?
→ আবেদন সাবমিট করার পর থেকেই EPIC কার্ড জেনারেশন, প্রিন্টিং ও ডেলিভারির প্রতিটি পর্যায়ে মোবাইলে স্ট্যাটাস আপডেট আসবে।
৪. কারা এই সুবিধা পাবেন?
→ নতুন নাম নথিভুক্ত করা, সংশোধন, ঠিকানা পরিবর্তন বা যেকোনও রোল আপডেটের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য।
৫. আগের মতো দীর্ঘ সময় লাগবে না তো?
→ না, নতুন ব্যবস্থায় পুরো প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় ও ট্র্যাকযোগ্য হওয়ায় সময় অনেকটাই কমেছে।