SBI গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর, ৩০ শে জুন থেকেই বদলে যাচ্ছে স্টেট ব্যাংকের এই নিয়ম
উপার্জনের থেকে কিছু টাকা সরিয়ে সঞ্চয় করতে আমরা কমবেশি সকলেই অভ্যস্ত। আর এই সঞ্চয়ের একমাত্র ভরসযোগ্য স্থান হল বিভিন্ন ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক থেকে বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক রয়েছে দেশে। তবে টাকা সঞ্চয় ছাড়াও ব্যাংকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন গ্রাহকরা। তা হল, ‘লকার ফ্যাসিলিটি’র ব্যবহার। বাড়িতে সোনার গয়না বা মহামূল্যবান কোনো বস্তু সুরক্ষিত না রাখতে পারলে গ্রাহকেরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংকের লকারে সেই জিনিস রেখে আসে। এতে ব্যাংক যেমন সেই মূল্যবান জিনিসের সুরক্ষা দেয়, তেমনই গ্রাহককেও বার্ষিক কিছু টাকা গুনতে হয় এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য।
দেশের সমস্ত ব্যাংকের মধ্যে SBI -হল সর্ববহুল ব্যবহৃত একটি ব্যাংক। দেশের সিংহভাগ নাগরিক এই ব্যাংকের গ্রাহক। টাকা লেনদেন থেকে লকার ফ্যাসিলিটি এমনকি আরো নানা পরিষেবা প্রদান করে ভারতের এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। এর এই ব্যাংকের লকার ফ্যাসিলিটি ব্যবহার করার জন্য এবার নিয়ম পরিবর্তন করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ শে জুনের পর থেকেই বদলে যাবে ব্যাংকের এইসব নিয়মাবলী। তাই আপনি যদি এই ব্যাংকের গ্রাহক হন, এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ম পরিবর্তনের বিষয়ে গ্রাহকদের অবগত করে আসছে ব্যাংক। প্রতি গ্রাহককে ম্যাসেজ দিয়ে জানানো থেকে শুরু করে অন্তর্জাল মাধ্যমেও এই বিষয়টি জানিয়েছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। এই মর্মে অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করে জানিয়েছে যে, ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন লকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। SBI তার অফিসিয়াল টুইটে লিখেছে, প্রিয় গ্রাহক, সংশোধিত লকার চুক্তির নিষ্পত্তির জন্য অনুগ্রহ করে আপনার কাছের শাখায় যান। আপনি যদি ইতিমধ্যেই আপডেট করা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে থাকেন, তাহলেও আপনাকে এই নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। আর এই সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ড, চুরি, ডাকাতি, ব্যাংকের অবহেলা বা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে গ্রাহক তার ক্ষতিপূরণ পাবে।
তবে শুধু SBI নয়, এই পথে হাঁটছে Bank Of Baroda-ও। তার কারণ একটাই। সম্প্রতি RBI-এর তরফে এই মর্মে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, সমস্ত ব্যাঙ্ককে লকার সংক্রান্ত নিয়ম ও চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। এর সাথে, এটিও নিশ্চিত করতে হবে যে ৫০ শতাংশ গ্রাহক চুক্তি ৩০ জুনের মধ্যে এবং ৭৫ শতাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধন করতে হবে।