RBI: পুনরায় চালু হবে ১০০০ টাকার নোট! বড়সড় ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
একমাস হতে চলল ভারতে বাতিল বলে গণ্য করা হয়েছে ২০০০ টাকার নোটকে। দেশের সবথেকে বড় মুদ্রাকে কয়েকমাস আগেই বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে যেহেতু এই চালু নোটের একটা বড় অংশ ততদিন অবধি অনেক সাধারণ মানুষের কাছে ছিল, তাই তাদের সেইসব নোট ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে সম মূল্যের ক্রেডিট নেওয়ার জন্য কয়েকমাস সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়সীমা গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। এখনো অনেক গোলাপি নোট বাজারে উপলব্ধ থাকলেও তা যে এখন মূল্যহীন, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
২০১৬ সালে সর্বপ্রথম ভারতের বাজারে ২০০০ টাকার নোট ছাড়া হয়। ৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে গোটা দেশে নোটবন্দি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেয়। এরপর ১০ নভেম্বর ২০১৬ থেকে নতুন ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এটিও আগের মতন গান্ধী সিরিজের নোট ছিল। তবে নতুন আকারে এবং নতুন সজ্জায় এই নোট বাজারে আসে। কয়েকমাস আগে অবধি বাজারের সবথেকে বড় নোট ছিল এই ২০০০ টাকার নোট।
তবে কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাপকভাবে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে শেয়ার করেছেন এই খবর। এই খবরে বলা হচ্ছে যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নাকি আবার ১ হাজার টাকার নোট বাজারে ফিরিয়ে আনতে চলেছে। ওই খবরে দাবি করা হয়েছে যে এই বিষয়ে শীঘ্রই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বড় কোনো ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু আগের মতোই কি হবে এই নতুন ১ হাজার টাকার নোট? নাকি নতুন রূপে এই নোটকে বাজারে আনবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? এই বিয়ে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
সম্প্রতি, এই বিষয়ে একটি ঘোষণা করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে বাজারে এক হাজার টাকার নোট ফিরিয়ে আনার মতো কোনো পরিকল্পনা নাকি এই মুহূর্তে নেই। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারতের এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে দেশের বর্তমান সময়ে অর্থনীতিতে নগদের প্রয়োজন মেটাতে ৫০০ টাকার নোট উপলব্ধ রয়েছে বাজারে। অন্যদিকে দেশে এখন ডিজিটাল লেনদেনের প্রতি ঝোঁকও দ্রুত বাড়ছে দেশবাসীর মধ্যে। তাই নগদ অর্থের প্রয়োজন কম হবে এবং সেই কারণেই এর থেকে বড় মুদ্রা বাজারে আনতে নারাজ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।