Hoop Life

ফুলগাছের সার কিনতে ছুটতে হবেনা বাজারে, সবজির খোসা ফেলে না দিয়ে এই উপায়ে তৈরি করুন জৈব সার

শীতকাল মানে যেমন হুহু করে ঠান্ডায় কাঁপা, তেমনই এই শীতে খাবার পাতে কোনো আপোষ করতে চায়না বাঙালি। আর তেমনটা করতেও হয়না। কারণ শীতকালে যেমন বাজারে আসে বাহারি ফল, তেমনই বাজারে অনেকরকম সবজির আমদানি ঘটে এই শীতকলেই। বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক ও গাজর এখন সারাবছর পাওয়া গেলেও এগুলি মূলত শীতের সবজি। এছাড়াও এই সময় মুলো, শিম ও মটরশুঁটি পাওয়া যায় ব্যাপকভাবে। তাই সবজি খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের কাছে শীতকাল যেন স্বর্গসুখ বয়ে আনে।

এদিকে শীতকালে নানা ফুল ফোটে বাগানে। অনেকের ক্ষেত্রে বাগান করার জায়গা না থাকলেও বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদে বাহারি ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। শীতে যেমন ফোটে গাঁদা, তেমনই ক্যালেন্ডুলা, ডালিয়া ফুলও ফোটে ব্যাপকভাবে। আর এই শীতে সবজির খোসা দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে এইসব ফুলগাছের জৈব সার। তাই সবজির খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দেবেন না। বরং এই উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সার। কিভাবে বানাবেন? দেখে নিন।

● শীতে পাওয়া যায় বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক, গাজরের মতো নানা সবজি। এইসব সবজির অনেকটা অংশ সহ খোসা আমরা ফেলে দিয়ে থাকি সাধারণত। তবে এগুলি থেকে সার বানিয়ে নিতে পারবেন অনায়াসে।

● প্রথমেই সবজির কাটা অংশ বা খোসা রেখে দিন একটি কাঠের পাত্রে বা কাগজের পাত্রে। প্রতিদিন এভাবে জমা করুন।

● মনে রাখবেন ওই কাঠের পাত্র যেন রাখা থাকে রোদে। অর্থাৎ সেগুলিকে শুকিয়ে নিতে হবে। যেন কোনোভাবে সেগুলি না পচে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

● এরপর সেই আধ-শুকনো খোসার সঙ্গে কিছুটা মাটি মিশিয়ে নিন।

● সবটা একসাথে শুকিয়ে গেলে সেগুলিকে হাত দিয়ে গুঁড়ো করে নিন।

● এরপর সেই শুকনো গুঁড়োর সঙ্গে কিছুটা শুকনো গোবর বা ঘুঁটে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। সেই সঙ্গে অল্প পরিমাণ চা পাতা মিশিয়ে নিতে পারেন।

● এবার এই মিশ্রিত গুঁড়ো অল্প পরিমাণে গাছের গোড়া ছড়িয়ে দিন। সপ্তাহে অন্তত একবার করে ফুলগাছে এই সার দিলেই ফুলগাছের বৃদ্ধি ঘটবে ভালোভাবে।

Related Articles