বিশ্ব সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু এবার দীঘার জগন্নাথধাম, রাজস্থান থেকে নিয়ে আসা হলো প্রভুকে
এবার জগন্নাথ দেবের মন্দির দর্শন করতে আর আপনাকে পুরী যেতে হবে না, দীঘাতে গেলেই দেখতে পাবেন এই মন্দির। এই মন্দিরে গেলেই আপনি একেবারে পুরীর জগন্নাথ দেব দর্শনের মতন করে এখানে পুজো দিতে পারবেন। অপেক্ষা করতে হবে মাত্র আর কিছুদিন, সামনের বছর দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রার ছবি দেখা যাবে। মন্দির একেবারেই আর পাঁচটা মন্দিরের মতো নয়, এই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এবারে বিশ্বসংস্কৃতির চর্চা কেন্দ্র তৈরি হতে পারে। এখানে গবেষণার সুযোগ ডিজিটাল তথ্য ভান্ডারও থাকবে।
তবে দীঘার এই মন্দিরের সঙ্গে পুরীর মন্দিরের তুলনা করা কোনটা কখনোই ঠিক হবে না কিন্তু পুরীর মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কিছু রীতিনীতির সঙ্গে মিল পেতে পারেন, তাই একবার গেলেই বুঝতে পারবেন, পুরীর মন্দিরের রোজ পতাকা পরিবর্তন করা হয় কিন্তু এখানে পতাকা পরিবর্তনের জন্য একটু অন্য পদ্ধতি চালু করা হবে, দীঘাতে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এই মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে রাজস্থানে, রাজস্থানের শিল্পীরা এই মূর্তি তৈরি করছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই ছবি পছন্দ করেছেন। তারপর এই ছবিকে পাঠানো হয়েছে রাজস্থানে। তারপর সেখান থেকে মূর্তি তৈরি হয়ে আসছে মন্দিরে। তারপর এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ রীতিমতো খতিয়ে দেখছেন। কতটা কাজ এগোচ্ছে, না এগোচ্ছে সব বিষয় তিনি খবর রাখছেন।
সমুদ্রের টানে প্রচুর মানুষের আগমন হয়, এখানে তারপরে এখন মানুষের বাড়তি পাওনা হলো এই জগন্নাথ দেবের মন্দির। এখানে একবার গেলে মনে হবে বারবার ঘুরে আসে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। যাদের পক্ষে পুরী যাওয়া সম্ভব নয়, এই মন্দিরের অসাধারণ কাজকর্ম দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে মার্বেল পাথরের কাজ হচ্ছে। আগামী বছর থেকেই এখানে ধুমধাম করে রথযাত্রা পালন করা যাবে, বলেই মনে হচ্ছে ভক্তদের, সমাগমে গমগম করবে দীঘার এই জগন্নাথ ধাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ে এই মন্দিরের কোনরকম কোন ক্ষতি হবে হবে না সেই ভাবেই বানানো হচ্ছে।