ছোট ছোট সঞ্চয়েই যে ভবিষ্যতের বড় সুরক্ষা গড়ে তোলা সম্ভব, তা আরও একবার প্রমাণ করল পোস্ট অফিসের নতুন সেভিংস স্কিম ‘গ্রাম সুরক্ষা যোজনা’। মাত্র ₹৫০ প্রতিদিন সঞ্চয় করলেই, নির্দিষ্ট সময়ে হাতে আসতে পারে ₹৩০ থেকে ₹৩৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকার এককালীন অর্থ।
এই স্কিম মূলত ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের জন্য তৈরি, যাঁরা নিয়মিত এবং পরিকল্পিতভাবে সঞ্চয় করতে চান। গ্রামবাসীদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে ১০, ১৫ এবং ২০ বছরের মেয়াদের বিকল্প।যদি কেউ ২০ বছর মেয়াদ বেছে নেন এবং প্রতিদিন ₹৫০ সঞ্চয় করেন, তাহলে বার্ষিক ₹১৮,০০০ জমা পড়ে। এই হিসাবে ২০ বছরে মোট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ₹৬,৪৮,০০০। আর বিনিয়োগের শেষে মিলতে পারে ₹৩০ থেকে ₹৩৫ লক্ষ টাকার মত অর্থ—যা ভবিষ্যতের জন্য এক বিশাল নিরাপত্তা বলেই ধরা যায়।
এই স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য বিনিয়োগকারীদের ভারতীয় নাগরিক এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টধারী হওয়া আবশ্যক। তবে সরকারি কর্মচারীরা এই স্কিমের আওতায় আসেন না। এটি একটি রিস্ক-ফ্রি এবং সরকার-সমর্থিত স্কিম, ফলে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে। এছাড়া, স্কিমটি ইন্সটলমেন্ট ভিত্তিতে নমনীয়তা প্রদান করে, যাতে গ্রাহকের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী সুবিধা হয়।সরকারের তরফে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে এই ধরনের প্রকল্প চালু করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে, যারা ছোট পরিমাণ অর্থেও ভবিষ্যতের জন্য বড় কিছু করতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত ও কার্যকর বিকল্প।
প্রশ্নোত্তর:
১. এই স্কিমে যোগ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বয়স কত?
১৯ বছর বয়স থেকে কেউ এই স্কিমে অংশ নিতে পারেন।
২. ₹৫০ দৈনিক জমা দিলে বছরে মোট কত টাকা জমা হয়?
বছরে মোট জমা হয় ₹১৮,০০০ (₹৫০ × ৩৬৫ দিন)।
৩. ২০ বছরের মেয়াদে মোট কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে?
২০ বছরে মোট ₹৬,৪৮,০০০ বিনিয়োগ করতে হবে।
৪. ম্যাচিউরিটির সময় কত টাকা পাওয়া যাবে?
ম্যাচিউরিটির শেষে ₹৩০ থেকে ₹৩৫ লক্ষ পর্যন্ত পেতে পারেন।
৫. এই স্কিমে কি শহরের বাসিন্দারাও যোগ দিতে পারেন?
এই স্কিম মূলত গ্রামীণ বাসিন্দাদের জন্য, শহরের বাসিন্দারা সাধারণত এর আওতায় আসেন না।