আজকের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে নির্ভরযোগ্য ও ধারাবাহিক আয়ের পথ খুঁজছেন বহু মানুষ। তেমনই এক অভিনব বিনিয়োগ কৌশলের কথা উঠে এসেছে, যা সঠিক পরিকল্পনায় ১০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ থেকেই মাসে প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় এনে দিতে পারে।
এই কৌশলটির মূল ভিত্তি হল high-dividend yielding stocks অর্থাৎ উচ্চ ডিভিডেন্ড প্রদানকারী শেয়ারে বিনিয়োগ। দীর্ঘ সময় ধরে নির্ভরযোগ্যভাবে ডিভিডেন্ড দিয়ে আসা সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করলে তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে অধিক রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে utility, FMCG এবং pharmaceuticals সেক্টরের কোম্পানিগুলিকে এই উদ্দেশ্যে বেশি উপযুক্ত বলে মনে করা হয়, কারণ এই সেক্টরগুলিতে আয় প্রায়শই স্থিতিশীল থাকে এবং বাজারের ওঠাপড়ার তুলনায় কম প্রভাব পড়ে।
এই পরিকল্পনার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ডিভিডেন্ড পুনর্বিনিয়োগ (Dividend Reinvestment)। প্রতি বছর বা প্রান্তিকে পাওয়া ডিভিডেন্ড যদি পুনরায় শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে তা দীর্ঘ মেয়াদে আয় বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। একে বলা হয় compounding return।তবে এই ধরনের আয় কেবলমাত্র রাতারাতি সম্ভব নয়। দরকার সময়, ধৈর্য এবং পরিকল্পনা মেনে চলা। দীর্ঘ মেয়াদে সঠিক শেয়ার নির্বাচন ও ধারাবাহিক বিনিয়োগই এই পদ্ধতির সাফল্যের চাবিকাঠি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:
১. এই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করলে ঝুঁকি কতটা থাকে?
এই পদ্ধতিতে ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম, তবে যেকোনও শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগেই কিছুটা ঝুঁকি থাকে। তাই কোম্পানির স্থিতিশীলতা ও ডিভিডেন্ড রেকর্ড যাচাই করা জরুরি।
২. একবারেই ১০ লক্ষ টাকা না থাকলে কি ধাপে ধাপে এই পরিকল্পনা শুরু করা যায়?
হ্যাঁ, ধাপে ধাপে SIP-এর মতো বিনিয়োগ করে এই স্ট্র্যাটেজি শুরু করা যেতে পারে।
৩. ডিভিডেন্ড কিভাবে পাওয়া যায় এবং কতবার দেওয়া হয়?
ডিভিডেন্ড সাধারণত বছরে এক বা একাধিকবার কোম্পানি দেয়। এটি সংস্থার লাভের ওপর নির্ভর করে।
৪. কোন কোন সেক্টরের শেয়ার এই কৌশলের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত?
Utilities, FMCG এবং Pharmaceuticals—এই তিনটি সেক্টর ডিভিডেন্ড প্রদানের দিক থেকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।
৫. এই ধরণের স্ট্র্যাটেজিতে আয় নিয়মিত থাকবে তো?
যেহেতু উচ্চ ডিভিডেন্ড কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়, তাই আয় সাধারণত ধারাবাহিক হয়। তবে সময়বিশেষে সামান্য ওঠানামা হতেই পারে।
