মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় আছড়ে পড়তে পারে ঝড়বৃষ্টি। সঙ্গে থাকতে পারে প্রবল বজ্রপাত এবং ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতাও জারি করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে।আগামী কিছু সময়ের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই ঝড়ের সঙ্গে থাকতে পারে তীব্র বজ্রপাত ও জোরালো হাওয়া, যা জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশে এর প্রভাব বেশি পড়ার আশঙ্কা।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ধরণের ঝড় বর্ষা-পূর্ব মৌসুমি বৈচিত্রেরই একটি অংশ। বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প এবং পশ্চিমের দিক থেকে আসা শুষ্ক বায়ুর সংমিশ্রণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটতে পারে, যা জীবনের পক্ষেও বিপজ্জনক হতে পারে।
আবাসিক এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই মাইকিং করে সতর্কতা দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় রাখা হালকা জিনিসপত্র এখনই সরিয়ে নেওয়া উচিত। খোলা জায়গায় থাকলে বজ্রপাতের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই আকাশ কালো হতে শুরু করলেই ঘরে ঢুকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
FAQ: পাঠকের জিজ্ঞাসা
১. এই ঝড় কবে ও কখন আছড়ে পড়তে পারে?
আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে ঝড় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় এর প্রভাব দেখা যেতে পারে।
২. ঝড়ের সময় বাতাসের গতি কতটা হতে পারে?
ঝড়ের সময় ঘণ্টায় সর্বাধিক ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে।
৩. কী কী এলাকা ঝড়ের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ?
হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অঞ্চল ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়তে পারে।
৪. কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
বাড়ির বাইরে না বেরোনো, ইলেকট্রিক যন্ত্র বন্ধ রাখা, ছাদ বা খোলা জায়গা থেকে হালকা বস্তু সরিয়ে ফেলা জরুরি।
৫. এই ঝড় কি বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে?
যদি সতর্কতা না মানা হয়, তাহলে গাছ উপড়ানো, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া বা বজ্রাঘাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়।