ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণে আর চলবে না আধার কার্ড! সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, আধার কার্ড শুধুমাত্র পরিচয়পত্র হিসেবেই ব্যবহৃত হতে পারে—নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে নয়। ফলে নয়া নিয়মে বিপাকে পড়তে পারেন বহু সাধারণ নাগরিক, বিশেষত যাঁদের কাছে অন্য কোনও নথি নেই।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও সরকারের সিদ্ধান্ত
সুপ্রিম কোর্ট পূর্বেই জানিয়েছিল যে আধার কেবলমাত্র পরিচয় নিশ্চিত করে, নাগরিকত্ব নয়। সরকারের তরফেও এবার সেই বক্তব্যেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য এখন চাই একাধিক বিকল্প নথি। এর মধ্যে রয়েছে জন্ম শংসাপত্র, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, ১৯৭১ সালের আগের জমির দলিল বা শিক্ষাগত নথি, বাবা-মায়ের নাগরিক সংক্রান্ত কাগজপত্র, গ্রাম পঞ্চায়েত বা পৌরসভার রেসিডেন্স সার্টিফিকেট এবং এনআরসি বা এনপিআর-সংক্রান্ত ডকুমেন্ট।
কারা পড়তে পারেন সমস্যায়?
এই পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রামীণ ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজন, যাঁদের কাছে আধার ছাড়া অন্য কোনও সরকারি নথি নেই। পরিযায়ী শ্রমিক, গ্রামে বসবাসকারী প্রবীণ নাগরিক বা যাঁদের পরিবারের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিতর্ক রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।
কোথায় কোথায় লাগবে এই নথিগুলি?
পাসপোর্ট তৈরি, সরকারি চাকরি, বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেতে গেলে এখন নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে উপরোক্ত ডকুমেন্ট দেখাতে হবে। ইতিমধ্যেই জেলাস্তরের আধিকারিকদের এই নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাগরিকদের জন্য করণীয় কী?
সরকার নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের এবং বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্র জোগাড় করে রাখতে হবে। এছাড়া পুরনো শিক্ষাগত সার্টিফিকেট, জমির নথি, গ্রাম পঞ্চায়েত বা মিউনিসিপ্যালিটির বসবাসের শংসাপত্র সংগ্রহ করে তা ডিজিটালি সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
FAQ:
১. আধার কার্ড কি এখন নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে?
না, আধার কেবলমাত্র পরিচয়পত্র, নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।
২. নাগরিকত্ব প্রমাণে কোন নথিগুলি লাগবে?
জন্ম শংসাপত্র, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, ১৯৭১ সালের আগের জমির দলিল বা শিক্ষাগত নথি, প্রমুখ।
৩. কাদের উপর এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে পারে?
গ্রামীণ এলাকাবাসী, পরিযায়ী শ্রমিক ও যাঁদের কাছে আধার ছাড়া অন্য কোনও নথি নেই।
৪. কোথায় কোথায় নাগরিকত্বের প্রমাণ লাগবে?
পাসপোর্ট, সরকারি চাকরি এবং বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাওয়ার সময়।
৫. কীভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত নাগরিকদের?
প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সেগুলি ডিজিটালি সংরক্ষণ করতে হবে।