“পাঁচশো টাকার নোটে * চিহ্ন? তবে কি সেটা নকল?”—এই প্রশ্নে ভরা বহু মানুষের মনে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। অবশেষে এই সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (RBI)। জানানো হয়েছে, এই চিহ্নযুক্ত নোট সম্পূর্ণরূপে বৈধ এবং ব্যবহারযোগ্য।স্টার সিরিজের নোটগুলি মূলত সেই সব মুদ্রা, যেগুলি মুদ্রণের সময় কোনো ত্রুটি থাকায় বাদ পড়ে যায় এবং পরে আবার নতুন করে ছাপা হয়। এই পরিবর্তিত নোটগুলিতেই থাকে একটি বিশেষ চিহ্ন—সিরিয়াল নম্বরে * (স্টার)। সাধারণ নোটের মতোই দেখতে হলেও, এই চিহ্ন থাকায় বোঝা যায় এটি রিপ্লেসমেন্ট নোট।
এই ব্যবস্থা প্রথম চালু হয় ২০০৬ সালে। তখন দশ, বিশ ও পঞ্চাশ টাকার নোটে প্রথম দেখা যায় এই স্টার সিরিজ। পরে ২০১৬ সালে এটি পাঁচশো টাকার নোটেও চালু হয়। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য ছিল খরচ বাঁচানো এবং সিরিয়াল নম্বরের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। কারণ, ভুল নোট বাতিল করে নতুনভাবে সম্পূর্ণ সিরিজ ছাপা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এই ধরনের নোটগুলির সিকিউরিটি ফিচার, ডিজাইন এবং উপাদান সবই অন্যান্য মুদ্রার মতোই। শুধুমাত্র সিরিয়াল নম্বরে থাকা স্টার চিহ্নই তার ভিন্নতা বোঝায়। অনেকেই ভেবে নেন যে এই চিহ্নযুক্ত নোট নকল অথবা চলাচলের অযোগ্য, কিন্তু তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে RBI স্পষ্ট বার্তায় বলেছে, স্টার সিরিজের প্রতিটি নোট বাজারে পূর্ণ মূল্যেই ব্যবহার করা যাবে। কোনো ধরনের দ্বিধা বা ভয় না রেখেই এগুলো গ্রহণ ও লেনদেন করা উচিত।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি (FAQs)
১. স্টার(*) চিহ্ন থাকা নোট কি নকল?
না, এই নোটগুলি সম্পূর্ণভাবে আসল এবং বৈধ। এগুলি RBI অনুমোদিত।
২. স্টার চিহ্ন কোথায় থাকে?
সিরিয়াল নম্বরের আগে ও সংখ্যার মাঝে একটি * চিহ্ন থাকে।
৩. স্টার সিরিজ চালু হয় কবে?
২০০৬ সালে দশ, বিশ ও পঞ্চাশ টাকায় প্রথম চালু হয়; ২০১৬ সালে পাঁচশো টাকাতেও যোগ হয়।
৪. এই চিহ্নের মানে কী?
এটি বোঝায় যে নোটটি পূর্বের ত্রুটিপূর্ণ ছাপার পরিবর্তে নতুন করে ছাপা হয়েছে।
৫. সাধারণ নোটের সঙ্গে এর পার্থক্য কী?
শুধু স্টার চিহ্ন ছাড়া অন্য কোনও পার্থক্য নেই; সব বৈশিষ্ট্য একই।