হঠাৎ করে বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল এল এক মাসে ১২ হাজার টাকা! এমন চমকে দেওয়া অভিজ্ঞতা হয়েছে হুগলির বেশ কিছু পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, স্মার্ট মিটার বসানোর পর থেকেই বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। সেই ক্ষোভেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে নতুন স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ।হুগলির রবীন্দ্রনগর কালীতলার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়েনি, কিন্তু বিল বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। স্মার্ট মিটার বসানোর পরে প্রতি মাসের খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে, আপাতত গৃহস্থালিতে নতুন করে কোনও স্মার্ট মিটার বসানো হবে না।
তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ গৃহস্থালিতে এবং ৩৫ শতাংশ বাণিজ্যিক স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু গৃহস্থালির পক্ষ থেকে একের পর এক অভিযোগ আসায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং এরপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্মার্ট মিটার প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল, এবং প্রযুক্তিগত কারণে সাময়িক বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। তবে ব্যবহারকারীদের স্বার্থেই যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
রাজ্য সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলেও সূত্রের খবর। মিটার সংস্থাকে ডাকা হয়েছে ব্যাখ্যার জন্য। পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছে থেকে পাওয়া তথ্য এবং বিলের হিসেব যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে।স্মার্ট মিটার প্রকল্প রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে চালু হয়েছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ):
১. কেন স্মার্ট মিটার নিয়ে অভিযোগ উঠেছে?
→ স্মার্ট মিটার বসানোর পর হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
২. কতটি স্মার্ট মিটার রাজ্যে বসানো হয়েছে?
→ প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার স্মার্ট মিটার ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে।
৩. গৃহস্থালিতে কত শতাংশ মিটার বসানো হয়েছিল?
→ প্রায় ৬৫ শতাংশ স্মার্ট মিটার গৃহস্থালিতে বসানো হয়।
৪. স্মার্ট মিটার বসানো আপাতত বন্ধ কেন?
→ অভিযোগ খতিয়ে দেখে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গৃহস্থালিতে নতুন মিটার বসানো বন্ধ রাখা হয়েছে।
৫. রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
→ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিদ্যুৎ দফতর তদন্ত করছে এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে।