স্কুলে যেতে ভালো লাগেনা সরাসরি জানিয়ে দিলেন পটল, লক্ষ্য এখন অভিনেত্রী হওয়া!
করোনা অতিমারীর কারণে লকডাউনের ফলে গত বছর থেকেই অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অনলাইন ক্লাসের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অভিনেত্রী হিয়া দে (Hiya dey)-ও জানাল, তার স্কুলে যেতে ভালো লাগে না। অনলাইন ক্লাসেই বেশি স্বচ্ছন্দ্য সে।
কারণ অনলাইন ক্লাস যেকোনো জায়গা থেকেই করা যায়। স্কুল থাকলেই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে স্নান করে, খাওয়াদাওয়া করে স্কুলে দৌড়াতে হয় যা হিয়ার ভালো লাগে না। তবে অনলাইন ক্লাসে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না বলে খারাপ লাগে হিয়ার। ফলে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে হিয়া। এই মুহূর্তে সে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। লকডাউনে হিয়ার প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছে ফিল্ম। তবে অ্যাকশন ও কমেডিতে ভরপুর দক্ষিণী ফিল্ম তার বেশি পছন্দের। লকডাউনে হিয়া ও তার দিদি মিলে প্রায় 140 টি ফিল্ম দেখে ফেলেছে এবং দুটি বই পড়ে ফেলেছে। বাংলা ফিল্মে অ্যাকশন থাকে না বলে হিয়ার পছন্দ নয়। তাই সে ঠিক করেছে, বড় হয়ে অ্যাকশন ফিল্ম প্রযোজনা ও পরিচালনা করবে।
আংশিক লকডাউনের ফলে শুটিংয়ে ছাড় দেওয়ায় সেটে ফিরেছে টিম ‘ফেলনা’। ‘ফেলনা’-র মাধ্যমে প্রায় দুই বছর পর টেলিভিশনে কাজ শুরু করেছে হিয়া। ‘ফেলনা’ সিরিয়ালে ফেলনার ভূমিকায় অভিনয় করছে হিয়া। তবে তার পছন্দ ছিল ‘শুট ফ্রম হোম’-এর দিনগুলি। বাড়ি থেকেই ‘ফেলনা’র- প্রোমো শুট করেছিল হিয়া। হিয়া মজা করে বলেছে, তার মা হতেন পরিচালক, বাবা টেকনিশিয়ান ও দিদি মেকআপ আর্টিস্ট। একজন আত্মীয় তার পোশাক বানিয়ে দিতেন। এছাড়া দিদির কানের দুল, মায়ের ওড়নাও শুটিংয়ের কাজে আসত। নিজেদের বাড়ির পিছনে ছোট বাগানে শুট করত হিয়া।
‘পটলকুমার গানওয়ালা’-য় অভিনয় করে বিখ্যাত হওয়া হিয়ার এখন শুটিং ফ্লোরে হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক পরে ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে দিন কেটে যায়। আগের মতো খোলাখুলি আড্ডার পরিবেশ নেই বলে জানিয়েছে হিয়া। আগে সেটের বাইরে ঘুরে বেড়ানো যেত। এখন মেকআপ রুমেই বেশিরভাগ সময় বসে থাকতে হয়। শুধুমাত্র শটের সময় ফ্লোরে যেতে হয়। সকাল থেকে রাত অবধি সেটেই কেটে যায় হিয়ার। তার মধ্যেই চলে অনলাইন ক্লাস। অবসর সময়ে সেটে বসে অনলাইনেই ফিল্ম দেখে হিয়া। সে নিজেও অংশুমান প্রত্যুষ (Angsuman pratyush) পরিচালিত পরবর্তী ফিল্ম ‘নির্ভয়া’-য় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছে।