ভোরের ব্যস্ততা সামলাতে নিত্যযাত্রীদের জন্য সুখবর। শিয়ালদহ ডিভিশনের দক্ষিণ শাখায় চালু হল আরও তিনটি অতিরিক্ত EMU (Electric Multiple Unit) পরিষেবা। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধা বাড়াতে এবং সকালবেলার ট্রেনের অতিরিক্ত ভিড় কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সফল ট্রায়াল রানের পর এই ট্রেনগুলি এখন রোজকার নিয়মে চলবে। এই তিনটি ট্রেনের মধ্যে দুটি একেবারে নতুন সার্ভিস, আর একটি আগে থেকেই চলা ট্রেনের সময়সূচিতে সামান্য বদল আনা হয়েছে।
প্রথম নতুন পরিষেবাটি চলবে সোনারপুর থেকে ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে। এই ট্রেনটি প্রতিদিন ভোর ৫টায় সোনারপুর থেকে ছাড়বে এবং সকাল ৬টা ৫ মিনিট নাগাদ ডায়মন্ড হারবার পৌঁছবে। দ্বিতীয় নতুন ট্রেনটি ডায়মন্ড হারবার থেকে বলিগঞ্জ পর্যন্ত চলবে। এই ট্রেনটি ডায়মন্ড হারবার থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ ছেড়ে বলিগঞ্জ পৌঁছবে আনুমানিক সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে। তৃতীয় ট্রেনটি আগে থেকেই চলত—সোনারপুর থেকে ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে। আগে এটি ৪টা ৫০ মিনিটে ছাড়ত, কিন্তু এখন থেকে ১০ মিনিট আগে, অর্থাৎ ৪টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। ফলে এই ট্রেনটি ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছবে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই।
এই পরিবর্তনগুলি চালু করার আগে বেশ কিছুদিন ধরে ট্রায়াল রান চলেছে এবং সেই পরীক্ষা সফল হওয়ার পরই মূল পরিষেবা চালু করা হয়েছে। Eastern Railway জানিয়েছে, এই নতুন ট্রেনগুলি প্রতিদিন চালানো হবে এবং যাত্রীসংখ্যা ও চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে আরও পরিষেবা বাড়ানো হতে পারে। এই সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের আগের পদক্ষেপগুলিরই ধারাবাহিকতা, যেখানে ডুমডুম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বনগাঁ রুটেও অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বাড়ানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে শিয়ালদহ ডিভিশন এখন ধীরে ধীরে যাত্রী চাপ সামাল দিতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. নতুন চালু হওয়া ট্রেনগুলি কোন কোন রুটে চলবে?
নতুন পরিষেবা সোনারপুর–ডায়মন্ড হারবার এবং ডায়মন্ড হারবার–বলিগঞ্জ রুটে চালু হয়েছে।
২. কোন ট্রেনটির সময় বদলানো হয়েছে?
সোনারপুর থেকে ডায়মন্ড হারবারের আগে থেকেই চলা একটি ট্রেন ১০ মিনিট আগে ছাড়বে এখন থেকে।
৩. ট্রেন পরিষেবাগুলি কী প্রতিদিন চলবে?
হ্যাঁ, নতুন পরিষেবাগুলি রোজ চলবে বলে পূর্ব রেল জানিয়েছে।
৪. এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য কী?
সকালবেলার অফিস টাইমের ভিড় কমানো এবং যাত্রীদের ট্রেন ধরার বিকল্প বাড়ানো।
৫. এর আগে কোথায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল?
ডুমডুম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বনগাঁ রুটে অতিরিক্ত ট্রেন চালিয়ে ইতিমধ্যেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।