অর্থনৈতিক নিরাপত্তার সন্ধানে থাকা মানুষদের জন্য এক নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছে পোস্ট অফিসের মাসিক আয় প্রকল্প (Post Office Monthly Income Scheme)। সুনিশ্চিত রিটার্ন এবং নিয়মিত আয়ের প্রতিশ্রুতি—এই দুই গুণেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এই স্কিমের চাহিদা বাড়ছে। এই প্রকল্পের আওতায় মাত্র ১,০০০ বিনিয়োগ করেই শুরু করা যায় একটি অ্যাকাউন্ট। এর পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়িয়ে একক অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ৯ লাখ এবং যৌথ অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ১৫ লাখ পর্যন্ত জমা রাখা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা, ৭.৪% হারে বার্ষিক সুদ দেওয়া হয়, যা প্রতি মাসে ইন্টারেস্ট পেমেন্ট হিসাবে হাতে পাওয়া যায়।
যদি কেউ ৯ লাখ বিনিয়োগ করেন, তাহলে প্রতি মাসে প্রায় ৫,৫০০ হারে আয় হবে। আর যৌথ অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ জমা করলে মাসে প্রায় ৯,২৫০ পর্যন্ত আয় সম্ভব। স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর, যার মধ্যে প্রথম বছর কোনওভাবেই টাকা তোলা যাবে না। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের আগে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলে কিছু জরিমানা ধার্য হয়। ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বন্ধ করলে মূল টাকার উপর ২% এবং ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে বন্ধ করলে ১% কেটে নেওয়া হয়। তবে, যদি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার স্কিমের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রয়াত হন, সেক্ষেত্রে নমিনিকে পুরো জমা ও সুদের পরিমাণ ফেরত দেওয়া হয়। এই স্কিমটি মূলত তাঁদের জন্য, যাঁরা অবসরের পরে বা স্থায়ী আয় খুঁজছেন, অথচ বাজারভিত্তিক ঝুঁকি নিতে রাজি নন। সরকার-সমর্থিত হওয়ায় প্রকল্পটির বিশ্বাসযোগ্যতাও যথেষ্ট বেশি।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. পোস্ট অফিস মাসিক আয় প্রকল্পে ন্যূনতম কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়?
→ শুরু করা যায় মাত্র ১,০০০ বিনিয়োগ করে।
২. একক অ্যাকাউন্ট ও যৌথ অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক বিনিয়োগ কতটা করা যায়?
→ একক অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ এবং যৌথ অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ পর্যন্ত জমা রাখা যায়।
৩. সুদের হার কত এবং তা কতদিন অন্তর দেওয়া হয়?
→ বার্ষিক ৭.৪% হারে সুদ দেওয়া হয় এবং তা প্রতি মাসে হাতে আসে।
৪. অ্যাকাউন্ট কতদিনের জন্য খোলা হয় এবং তার আগে টাকা তোলা যায় কি?
→ স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর; প্রথম বছরে কোনওভাবেই টাকা তোলা যায় না।
৫. প্রাক-মেয়াদে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়?
→ ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বন্ধ করলে ২% এবং ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে বন্ধ করলে ১% মূলধন কেটে নেওয়া হয়।