আকাশে এখনও মেঘের ভ্রুক্ষেপ স্পষ্ট। হাওয়ার দাপটে কাঁপছে গাছের ডালপালা। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ফের সক্রিয় বর্ষার ঘূর্ণাবর্ত। আগামী কয়েকদিনের জন্য জারি হয়েছে সতর্কতা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের উপর তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে সক্রিয়ভাবে প্রভাব ফেলছে। তার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
বিশেষ করে সাতটি জেলা—দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং বীরভূম—এই মুহূর্তে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলির জন্য জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও মালদা জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও অতিভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা এখনই নেই। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া পরিস্থিতি অন্তত আগামী রবিবার পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে। সে কারণে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা বিদ্যুৎ সংযোগ বা খোলা স্থানে কাজ করেন, তাঁদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। কৃষিকাজ, ছোট ব্যবসা এবং যাত্রী পরিবহণেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. পশ্চিমবঙ্গে কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে?
→ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং বীরভূম জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২. ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ কত হতে পারে?
→ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
৩. কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় কী ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে?
→ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
৪. আবহাওয়ার এই অবস্থা কতদিন স্থায়ী হতে পারে?
→ অন্তত রবিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
৫. এই আবহাওয়া পরিস্থিতির ফলে কী কী ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে?
→ কৃষিকাজ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পরিবহণ এবং খোলা জায়গায় কাজের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।