পাঁচ বছরের মধ্যে ১১ লক্ষাধিক টাকার সুদ পেতে চান? তাও আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগে? তেমনই এক সুযোগ দিচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC) প্রকল্প। সরকারের গ্যারান্টিযুক্ত এই প্রকল্পে একদিকে যেমন থাকছে নিরাপত্তার আশ্বাস, তেমনই মিলবে ভালো রিটার্ন। যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিন্তে সঞ্চয় করতে চান, তাঁদের জন্য এই স্কিম হতে পারে আদর্শ বিকল্প।
কী কী সুবিধা থাকছে NSC স্কিমে?
-
বর্তমানে NSC স্কিমে বার্ষিক সুদের হার ৭.৭%, যা কম্পাউন্ড করে বার্ষিক ভিত্তিতে হিসেব করা হয়।
-
স্কিমটি একটি ৫ বছরের লক-ইন পিরিয়ড সহ আসে। অর্থাৎ, একবার বিনিয়োগ করলে পাঁচ বছর আগে টাকা তোলা যাবে না।
-
সর্বনিম্ন বিনিয়োগ মাত্র ১,০০০ থেকে শুরু করা যায় এবং এর কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই।
-
যদি কেউ ২৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, পাঁচ বছর পর সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩৬.৪৭ লক্ষ টাকা। ফলে মোট সুদ হিসেবে মিলবে ১১.৪৭ লক্ষ টাকা।
কর ছাড় এবং লোন সুবিধা
এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে একই সঙ্গে সঞ্চয় এবং ট্যাক্স সেভিংস—দু’টোই সম্ভব। তাছাড়াও, প্রয়োজনে NSC সার্টিফিকেটকে গিরভি রেখে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যাঁরা হঠাৎ করে আর্থিক সমস্যায় পড়েন, তাঁদের জন্য এটি একটি বড় সহায়ক ব্যবস্থা।
কেন এই স্কিম জনপ্রিয়?
বর্তমানে ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম। সেক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের NSC স্কিম মধ্যবিত্ত এবং সিনিয়র সিটিজেনদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত এবং সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত এই প্রকল্প আগামী দিনে আরও জনপ্রিয়তা পেতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাঠকের জিজ্ঞাসা (FAQ)
১. ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC) কোথায় পাওয়া যাবে?
→ যেকোনও নিকটবর্তী পোস্ট অফিস থেকে NSC কেনা যায়।
২. যদি আমি ৫,০০০ বিনিয়োগ করি, তাহলে পাঁচ বছর পরে কত পাবো?
→ সুদের হার ৭.৭% ধরলে ৫,০০০ এর মোট মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৭,৩০০ টাকার আশেপাশে।
৩. আমি কি মাঝপথে টাকা তুলতে পারি?
→ সাধারণভাবে নয়। শুধুমাত্র মৃত্যু, আদালতের আদেশ বা কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আগাম তুলে নেওয়া সম্ভব।
৪. এটি কি কর-ছাড়ের অন্তর্গত?
→ হ্যাঁ, আয়কর আইন ৮০সি ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায় ₹১.৫ লক্ষ পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে।
৫. আমি কি অনলাইনে NSC কিনতে পারি?
→ আপাতত অনলাইনে কেনার সুবিধা নেই। পোস্ট অফিসে গিয়ে অফলাইন আবেদন করতে হয়।