দক্ষিণবঙ্গের আকাশে আবারও ফিরে এল কালো মেঘের জমাট। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন রাজ্যের একাধিক জেলায় দেখা দিতে পারে ঝড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ এবং ভারি বৃষ্টিপাত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি জেলায় ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আগামী ২–৩ দিন সেখানে লঘু থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পুরুলিয়ার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে শুধু বৃষ্টি নয়, বজ্রবিদ্যুৎসহ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতায় ইতিমধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া বজ্রসহ হালকা বৃষ্টি আগামী দিনগুলোতেও শহরের আকাশে দখল রাখতে পারে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭–৯৮ শতাংশ। ফলে দিনের তাপমাত্রা তুলনায় স্বাভাবিক থাকলেও ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি থেকেই যাবে।
কৃষিপ্রধান এলাকাগুলিতে এই প্রবল বর্ষা কিছু সুবিধা যেমন দেবে, তেমনই সমস্যাও তৈরি করতে পারে। জলাবদ্ধতা, ফসলের ক্ষয়, বীজ পচে যাওয়া, পোকামাকড়ের আক্রমণ—এই সব ঝুঁকির কথাও মাথায় রাখতে বলেছেন কৃষি আধিকারিকেরা। পাশাপাশি যান চলাচলেও প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষত শহরের ভেজা রাস্তাগুলিতে। আবহাওয়া বিভাগ থেকে সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝড়ো হাওয়ার সময় অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোনোই শ্রেয়। কৃষকদের ক্ষেতখামারে কাজের সময় আরও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
১. দক্ষিণবঙ্গে কতদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে?
→ আগামী ২ থেকে ৩ দিন লঘু থেকে ভারি বৃষ্টি চলতে পারে।
২. কোথায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে?
→ দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পুরুলিয়ার কিছু এলাকায় ৭–১১ সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
৩. ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ কোথায় আশঙ্কাজনক?
→ অধিকাংশ জেলাতেই ৩০–৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত হতে পারে।
৪. কলকাতার বর্তমান আবহাওয়া কেমন?
→ গত ২৪ ঘণ্টায় ১১.৬ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে; সঙ্গে হালকা বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।
৫. কৃষির উপর কী প্রভাব ফেলতে পারে এই আবহাওয়া?
→ অতিবৃষ্টি ফসলের ক্ষয়, জলাবদ্ধতা এবং বীজ পচে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।