ভারতের রেল যাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রেল মন্ত্রক। সারা দেশের প্রায় ৭৪,০০০টি যাত্রীবাহী কোচ ও ১৫,০০০টি ইঞ্জিন-এ লাগানো হবে উন্নত প্রযুক্তির CCTV ক্যামেরা। অত্যাধুনিক এই নজরদারি ব্যবস্থার ফলে যাত্রীরা পাবেন বাড়তি নিরাপত্তা, আর অপরাধমূলক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে থাকবে প্রশাসনের হাতে কার্যকর হাতিয়ার।
কোন কোন জায়গায় বসানো হবে ক্যামেরা?
প্রতিটি যাত্রীবাহী কোচে থাকবে চারটি ডোম-স্টাইল ক্যামেরা—দুটি প্রধান প্রবেশ পথে ও দুটি ভেতরের চলাচলের জায়গায়। অন্যদিকে, প্রতিটি ইঞ্জিনে থাকবে ছয়টি ক্যামেরা—একটি সামনের দিকে, একটি পিছনের দিকে, দুটি পাশে এবং প্রতিটি কেবিনে থাকবে দুটি ক্যামেরা ও দুটি ডেস্ক-মাউন্টেড মাইক্রোফোন।
কী বিশেষত্ব এই ক্যামেরাগুলির?
এই সমস্ত ক্যামেরা হবে STQC-সার্টিফায়েড, যা অত্যন্ত উচ্চ মানের ছবি ধারণে সক্ষম। এমনকি ট্রেন যখন ১০০ কিমি/ঘণ্টা-র বেশি গতিতে চলবে বা অল্প আলোতে থাকবে, তখনও ক্যামেরাগুলি স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ তুলতে পারবে। ফলে ঘটনার পরও নির্ভুল তথ্য বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে।
কোথা থেকে শুরু?
এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার আগে Northern Railway-এর কিছু ট্রেনে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সেখানকার সাফল্যের ভিত্তিতেই গোটা দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক রেলবোর্ড বৈঠকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও প্রতিমন্ত্রী রবনিত সিংহ বিট্টু এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
নজরদারিতে যুক্ত হচ্ছে AI-ও
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে ভবিষ্যতে যুক্ত করা হবে AI প্রযুক্তি। IndiaAI Mission-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে নজরদারি ব্যবস্থাকে আরও স্মার্ট ও কার্যকরী করে তোলা হবে।
সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. কেন রেল কোচ ও ইঞ্জিনে CCTV বসানো হচ্ছে?
প্যাসেঞ্জার সুরক্ষা বাড়ানো, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি শক্তিশালী করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২. প্রতিটি ট্রেনে মোট কতগুলি ক্যামেরা বসানো হবে?
প্রতি কোচে ৪টি ও প্রতি ইঞ্জিনে ৬টি করে ক্যামেরা বসানো হবে।
৩. এই ক্যামেরাগুলির বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী?
STQC-সার্টিফায়েড ক্যামেরাগুলি উচ্চ গতিতে এবং কম আলোতেও স্পষ্ট ফুটেজ রেকর্ড করতে সক্ষম।
৪. কবে থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে?
উত্তর রেলের পরীক্ষামূলক সাফল্যের পর ধাপে ধাপে দেশের সমস্ত ট্রেনে এটি চালু করা হবে।
৫. AI কীভাবে কাজ করবে এই প্রকল্পে?
AI-এর সাহায্যে ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহজনক গতিবিধি শনাক্ত ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো যাবে।