আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও রাজনীতির ছায়া। World Championship of Legends (WCL) টুর্নামেন্টে বহু প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে একাধিক ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পনসর সংস্থার প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসা। এর ফলে শুধু একটি ম্যাচ নয়, গোটা টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রাক্তন ওপেনার শিখর ধাওয়ানসহ একাধিক তারকা ক্রিকেটার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক সেই সময়েই, EaseMyTrip নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পনসর সংস্থা ঘোষণা করে যে, পাকিস্তানের অংশগ্রহণ থাকলে তারা আর এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না। এমন পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের অনুভূতির কথা ভেবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ক্ষমাও চায়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আফ্রিদি এবং আব্দুর রউফ ভারতের সিদ্ধান্তকে “দ্বিমুখী আচরণ” বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, খেলার মাঠে রাজনীতি টানা অনুচিত এবং খেলোয়াড়দের পেশাদারিত্ব বজায় রাখা উচিত। এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অথাওয়ালে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক খেলায় রাজনীতি টেনে আনা উচিত নয়। তাঁর মতে, বিদেশে আয়োজিত ম্যাচে এই ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব ক্রীড়াক্ষেত্রে নেতিবাচক বার্তা দেয়।
তবে শুধুমাত্র এই ম্যাচ নয়, সামগ্রিকভাবে WCL টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত নিয়েই এখন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ভবিষ্যতে ভারত ও পাকিস্তান আবার মুখোমুখি হবে কি না, কিংবা ভারত আদৌ অংশ নেবে কি না সেই ম্যাচগুলোতে। এই ঘটনাটি নতুন করে দেখিয়ে দিল, ক্রীড়াক্ষেত্রে কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও ক্রিকেট শুধু একটা খেলা, তবে তাতে জড়িয়ে থাকে আবেগ, জাতীয় স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক বার্তা। এই সিদ্ধান্ত যে বিতর্ক তৈরি করেছে, তা বলাই বাহুল্য।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. কেন ভারত-পাক ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে?
ভারতের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়ানো এবং স্পনসর সংস্থার আপত্তির কারণে ম্যাচ বাতিল হয়।
২. কোন সংস্থা স্পনসরশিপ প্রত্যাহার করেছে?
EaseMyTrip নামক সংস্থা পাকিস্তানের অংশগ্রহণে আপত্তি জানিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে।
৩. পাকিস্তানের কী প্রতিক্রিয়া ছিল এই ঘটনায়?
শোয়েব আফ্রিদি ও আব্দুর রউফ ভারতের সিদ্ধান্তকে “দ্বিমুখী আচরণ” বলে কটাক্ষ করেছেন।
৪. সরকার পক্ষের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অথাওয়ালে খেলায় রাজনীতি টানা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
৫. ভবিষ্যতে ভারত-পাক ম্যাচ কি আর হবে?
এই মুহূর্তে নিশ্চিত নয়, তবে বিষয়টি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।