২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই—গ্রামের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা এবং একইসঙ্গে এলআইসি-র বিমা পরিষেবা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া। এই প্রকল্পের অধীনে ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সি সেই সব মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাঁদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ। এলআইসি প্রথম বছরে ১ লক্ষ মহিলা নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
কী সুযোগ থাকছে?
বিমা সখী প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের তিন বছর ধরে পরিকাঠামোগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি থাকবে মাসিক ভাতা:
-
প্রথম বছরে ৭,০০০
-
দ্বিতীয় বছরে ৬,০০০ (৬৫% বা তার বেশি পলিসি রিনিউয়াল নিশ্চিত হলে)
-
তৃতীয় বছরে ৫,০০০ (সেই একই শর্তে)
২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে এলআইসি মোট ৬২.৩৬ কোটি টাকা স্টাইপেন্ড বাবদ খরচ করেছে। চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫২০ কোটি, যার মধ্যে জুলাই মাসের মধ্যেই ১১৫.১৩ কোটি বিতরণ করা হয়েছে।
কত জন মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ২.০৫ লক্ষেরও বেশি মহিলা বিমা সখী হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা শুধুমাত্র বিমা বিক্রি করছেন না, পাশাপাশি নিজেদের কমিউনিটিতে অর্থনৈতিক সচেতনতার বার্তাও পৌঁছে দিচ্ছেন। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে এলআইসি ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ‘বিমা সখী’ প্রকল্পকে জাতীয় livelihood মিশনের সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছে।
ভবিষ্যতের সুযোগ
প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার পর, এই প্রকল্পে যুক্ত মহিলারা এলআইসি-র অফিশিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এমনকি, পাঁচ বছর ধরে সফলভাবে কাজ করলে তাঁরা ডেভেলপমেন্ট অফিসার (ADO) পদেও পদোন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
অন্তত মাধ্যমিক (১০ম শ্রেণি) উত্তীর্ণ হতে হবে।
মাসে কত টাকা ভাতা দেওয়া হয়?
প্রথম বছরে ৭,০০০, দ্বিতীয় বছরে ৬,০০০, তৃতীয় বছরে ৫,০০০—পারফরম্যান্স অনুযায়ী।
এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ বয়স কত?
অংশগ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ বয়স ৭০ বছর।
প্রশিক্ষণ শেষে কী ধরনের কাজ দেওয়া হয়?
মহিলারা এলআইসি-র বিমা পলিসি বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।
ভবিষ্যতে পদোন্নতির সুযোগ আছে কি?
হ্যাঁ, পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার পর যোগ্যতা অনুযায়ী ADO পদে উন্নীত হওয়া যেতে পারে।