Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

Made in India Smartphones: আমেরিকায় ঝড় তুলছে ভারতীয় স্মার্টফোন, মার্কিন বাজারে চিনকে চাপে ফেলছে ভারত

অ্যাপলের আইফোন এখন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’। আর সেই আইফোনই দখল নিচ্ছে মার্কিন বাজারের বড় একটা অংশ। আন্তর্জাতিক স্মার্টফোন রপ্তানিতে ভারতের জোরদার উত্থান চোখে পড়ার মতো, যেখানে এক সময় একচেটিয়া আধিপত্য ছিল চিনের। ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে আমেরিকায় যে স্মার্টফোন আমদানি হয়েছে, তার প্রায় ৩৩–৩৬ শতাংশই এসেছে ভারত থেকে। গত বছরের এই সময়ে এই হার ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে ভারতীয় হ্যান্ডসেট রপ্তানিতে ২৪০–৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। ইউনিটে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১.৩ মিলিয়ন এবং তার আর্থিক মূল্য প্রায় ৯.৩৫ বিলিয়ন ডলার—যেখানে মূল্য বৃদ্ধির হার ১৮২ শতাংশ। এই সময়েই চিনের মার্কেট শেয়ার ৮২ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪৯ শতাংশ। ভিয়েতনাম রয়েছে ১৪ শতাংশ শেয়ারে।

আইফোন প্রোডাকশনের নজিরবিহীন উত্থান

গত ১২ মাসে ভারতে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের আইফোন তৈরি করেছে অ্যাপল, যা আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। বর্তমানে বিশ্বের মোট আইফোন উৎপাদনের ২০ শতাংশ হয় ভারতে। সংস্থার সিইও টিম কুক জানিয়েছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে সেই হার ২৫–৩২ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফক্সকন ইতিমধ্যেই মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ভারতে তৈরি আইফোনের মধ্যে ৯৭ শতাংশ রপ্তানি করেছে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই রপ্তানির মূল্য ৩.২ বিলিয়ন ডলার, যেখানে গত বছর এই অনুপাত ছিল ৫০ শতাংশ।

বাড়ছে লোকাল সাপ্লায়ার, চাকরির সুযোগ

২০১৩ সালে অ্যাপলের ভারতীয় সাপ্লায়ার ছিল মাত্র ১৪টি, যা ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৬৪-তে। অর্থাৎ ক্রমশ দেশীয় শিল্পের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে অ্যাপল। চেন্নাইয়ের কাছে নতুন ডিসপ্লে মডিউল প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ফক্সকন ১.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। এর ফলে সৃষ্টি হবে প্রায় ১৪,০০০ নতুন কর্মসংস্থান।

প্রশ্নোত্তর

১. কীভাবে এত দ্রুত বাড়ল ভারতের মার্কিন বাজারে স্মার্টফোন রপ্তানি?
অ্যাপলের উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে ভারতে স্থানান্তর এবং ফক্সকনের মতো বড় সংস্থার বিনিয়োগ এই বৃদ্ধির মূল কারণ।

২. চীন থেকে অ্যাপলের উৎপাদন সরানো কি পরিকল্পনার অঙ্গ?
হ্যাঁ, জিও-পলিটিকাল চাপ ও উৎপাদনের বৈচিত্র আনতেই অ্যাপল এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

৩. ভক্তদের জন্য এর প্রভাব কী হবে?
ভারতীয় উৎপাদন খরচ কম হলে ভবিষ্যতে কম দামে আইফোন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

৪. এই প্রবণতা কতটা স্থায়ী হতে পারে?
যদি উৎপাদন কাঠামো ও লগিস্টিক সাপোর্ট বজায় থাকে, তবে প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

৫. অন্য কোন দেশ ভারতকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে?
ভিয়েতনাম আপাতত ভারতের পরে থাকলেও এখনও ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রয়েছে।

ভারতের স্মার্টফোন উৎপাদনের এই উত্থান শুধুমাত্র অ্যাপলের মুনাফা বাড়ানোর কৌশল নয়, বরং এটি দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত। সময় বলবে, এই গতি কতদূর পৌঁছাতে পারে।