টানা ১১ ঘণ্টা জেরার পর সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে আসল ঘটনা ফাঁস করলেন এই ব্যক্তি
সুশান্ত মৃত্যুর তদন্তে সিবিআই প্রায় ১১ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ফ্ল্যাট মেট সিদ্ধার্থ পিঠানীকে। এবিপি নিউজের সূত্র অনুসারে সিদ্ধার্থের জবানবন্দী চ্যানেল সংগ্রহ করেছে। ১৪ ই জুনের তাঁর জ্ঞাত সমস্ত ঘটনার কথা জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ। সূত্রের খবর, ১৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুশান্তের পরিচারক কেশবের ফোন আসে। কেশব জানায় সুশান্ত দরজা খুলছেন না। সেই সময় সিদ্ধার্থ দীপেশকে ফোন করে ডেকে নেন। দুজনে মিলে ঘরের দরজা ধাক্কা দিলেও সুশান্তের সাড়া মেলে না।
সেই সময় সুশান্তের দিদি মীতুও সিদ্ধার্থকে ফোন করে সুশান্তের ফোন না তোলার কথা বলেন। তখন সিদ্ধার্থ ঘটনা জানিয়ে মীতুকেও আসতে বলেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি ওয়াচম্যানকে চাবিওয়ালা ডেকে আনতে বললে সে সাহায্য করে না। তখন সিদ্ধার্থ গুগল সার্চ করে রফিক নামে জনৈক চাবিওয়ালাকে ১টা বেজে ৬ মিনিটে ফোন করেন। রফিকের কথা মত লকের ছবি আর ঠিকানা দেন সিদ্ধার্থ। ১টা ২০ নাগাদ রফিক সঙ্গে একজনকে নিয়ে আসেন। চাবি তৈরি সম্ভব হয় নি বলে ঘরের লক ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রফিক লক ভেঙে দিলে সিদ্ধার্থ তাকে কথা মত ২০০০ টাকা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এরপর তিনি আর দীপেশ ঘরে ঢুকে অন্ধকার দেখেন। দীপেশ আলো জ্বালালে সুশান্তকে সবুজ রঙের একটা কাপড় দিয়ে পাখার সঙ্গে ঝুলতে দেখা যায়। এই খবর সিদ্ধার্থ মীতুকে জানান। এরপর চন্ডীগর থেকে সুশান্তের আর এক দিদি নীতু ফোন করেন। নীতুর সঙ্গে কথা চলাকালীন পাশ থেকে সুশান্তের জামাইবাবু ওপি সিং বলেন সুশান্তকে নামিয়ে দিতে। নির্দেশ মত সিদ্ধার্থ দীপেশকে ছুরি আনতে বলে সুশান্তের ফাঁস কেটে তাঁর শরীর বিছানায় নামান। ততক্ষণে মীতু এসে পড়েন। সিদ্ধার্থ জানান,’সেই সময় আমরা সুশান্তের গলার কাপড় সরিয়ে সুশান্তকে সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু তা বিফল হয়। এরপরই মুম্বই পুলিশ আসে।’