Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করেও টাকা পাননি? জানুন সমাধান

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাতে আবারও সক্রিয় হল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বারবার নানান ভাতা ও প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। পড়ুয়া থেকে শুরু করে প্রবীণ নাগরিক—প্রত্যেকের জন্য কোনও না কোনও প্রকল্পে সংরক্ষিত রয়েছে সুবিধা। এই তালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় ভাতা হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যা সরাসরি রাজ্যের মহিলাদের জন্য চালু করা হয়েছে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কী?

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি মূলত ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের জন্য চালু করা হয়। সাধারণ জাতিভুক্ত মহিলারা এই প্রকল্পে মাসে ১,০০০ টাকা করে পান এবং তপশিলি জাতির মহিলারা পান ১,২০০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, এই ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে। গুঞ্জন ছিল, সাধারণ মহিলারা ১,৫০০ টাকা ও তপশিলি জাতির মহিলারা ১,৮০০ টাকা করে পাবেন। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সরকারি ঘোষণা হয়নি।

আবেদন করেও ভাতা পাননি?

সম্প্রতি ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করেছিলেন বহু মহিলা। কিন্তু তাঁদের অনেকেই এখনও ভাতা পাননি। এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে সৃষ্টি হয় ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি। ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ব্যাখ্যা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। সম্প্রতি এক সরকারি সভায় তিনি জানান, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাজ্যে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার মহিলা পান। অন্য রাজ্যে একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে—বাড়িতে স্কুটি থাকলে হবে না, পাকা বাড়ি থাকলে হবে না, মোবাইল থাকলে হবে না। সেখানে একজন পায়। কিন্তু আমাদের এখানে প্রায় সবাই পান।”

কবে থেকে পাবেন ভাতা?

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “২৫ বছর বয়স থেকে আজীবন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়া যাবে। মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে থাকুন।” তিনি জানান, শেষ দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে জমা পড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনগুলির ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কাজ শেষ হলেই, ডিসেম্বর মাস থেকে সংশ্লিষ্ট মহিলারা ভাতা পেতে শুরু করবেন। এই ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বহু দরিদ্র ও প্রান্তিক মহিলা, যাঁরা প্রতিমাসে এই সামান্য অথচ গুরুত্বপূর্ণ অর্থের অপেক্ষায় থাকেন।

FAQ: সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কারা পেতে পারেন?
২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা যাঁরা রাজ্যের বাসিন্দা এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে, তাঁরা এই ভাতার জন্য যোগ্য।

২. কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে হয়?
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে ফর্ম পূরণ করে অথবা অনলাইনে নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করা যায়।

৩. আবেদন করেও এখনও টাকা পাননি, কী করবেন?
যদি আবেদন করা সত্ত্বেও টাকা না পান, তবে সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসে যোগাযোগ করতে হবে বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ফের আবেদন জমা দিতে হবে।

৪. কবে থেকে ভাতা চালু থাকবে?
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, একবার আবেদন গৃহীত হলে এই ভাতা আজীবন চালু থাকবে।

৫. ভাতার পরিমাণ বাড়বে কি?
যদিও বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে, সরকারিভাবে এখনও কোনও নতুন অঙ্ক ঘোষণা করা হয়নি।